শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি 31 August, 2021 12:38 AM
শিশুর যৌন নিপীড়নের রফাদফা করা হয়েছে ২৫ হাজার টাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার লোহাগাছ গ্রামে। জানা যায়, ওই গ্রামে গত ২৩ আগস্ট দুপুরে এক শিশুকে (৮) যৌন নিপীড়ন করেছে বলে স্থানীয় এক পোল্ট্রি ফার্মের কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।
এ বিষয়ে গ্রাম্য সালিসে বসে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শিশুটির বাবা-মার কাছে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে রফাদফা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহিদ মিয়া সালিশের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
শিশুটি গত ৮ দিন ধরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শিশুটির বাড়ি শ্রীপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে লোহাগাছ গ্রামে। তার বাবা একজন অটোরিকশা চালক। অভিযুক্ত শিপন মিয়ার (২২) বাড়ি রংপুর জেলায় বলে জানা গেছে। সে পৌর এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান (ভুট্টু)-এর রাফিন পোল্ট্রি ফার্মে কাজ করতো। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিপন মিয়াকে বেত্রাঘাত করে ফার্ম থেকে চাকরিচ্যুত করে তার গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শিশুটির মা জানান, পোল্ট্রির পাশে পুকুরে গোসল করার সময় শিশুটিকে পুকুর থেকে জোর করে তুলে নিয়ে ধান খেতের পাশে তাকে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। এরপর শিশু ছেলেটি বাড়িতে এসে সব কিছু জানায়। পরবর্তীতে পৌরসভার কাউন্সিলর সাহিদ মিয়াসহ স্থানীয় কয়েকজন মিলে শিশুটির মায়ের কাছে ছেলের চিকিৎসা খরচের জন্য ২৫ হাজার টাকা দেন। এ বিষয়ে কাউকে কিছু বলতে মানা করেন গ্রাম্য সালিশের লোকজন।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত শিপন মিয়াকে শারীরিক নির্যাতনও করেছে। হাসপাতালে ভর্তির বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি। এ বিষয়ে রাফিন পোল্ট্রি ফার্মের মালিক মোস্তাাফিজুর রহমান মোবাইল ফোনে জানান, এটা একটা গোপন বিষয়, গোপন থাকাই ভালো। বিষয়টি প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন।
শ্রীপুর পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহিদ মিয়া জানান, বিষয়টি স্থানীয় লোকজন আমাকে জানিয়েছেন। তবে ২৫ হাজার টাকায় আপোস-মীমাংসার বিষয়টি আমার জানা নেই।
শ্রীপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, এখনো কেউ বিষয়টি জানায়নি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
/জেআর/