| |
               

মূল পাতা ইসলাম একটি মাদরাসা বদলে দিলো যে গ্রাম/ যে গ্রামের সবাই নামাজি


একটি মাদরাসা বদলে দিলো যে গ্রাম/ যে গ্রামের সবাই নামাজি


রহমতটোয়েন্টিফোর ডেস্ক     05 July, 2021     01:20 PM    


গ্রামটির অবস্থান পাকিস্তানের ফয়সালাবাদে। এই গ্রামের সবাই নামাজি। ছোট-বড় সবাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন।

শুধু তাই নয়, ওই গ্রামের কেউ নেশা করেন না। এমনকি সিগারেটও খান না। পুরো গ্রামের দোকানগুলোতে গত ২০ বছর ধরে সিগারেট বিক্রির ব্যবস্থাই নেই। গ্রামে মসজিদে বিয়ে হয় খুবই সাদামাটাভাবে। বিয়েতে ইসলামি রীতি-নীতি ভালোভাবে পালন করা হয়। বিয়ের মধ্যে গান-বাজনা হয় না। কোনো বিয়েতে গান-বাজনার ব্যবস্থা করা হলে সামাজিকভাবে ওই বিয়েকে বয়কট করেন সবাই। ওই গ্রামে কোনো ভিখারি নেই। সবাই কাজকর্ম করে উপার্জন করেন।

জানা যায়, ওই গ্রামে ৯০ বছরের পুরোনো একটি মাদরাসা রয়েছে। যেখান থেকে সাধারণ মানুষকে ইসলামের দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়। যেকোনো ধরনের সমস্যা নিয়ে লোকজন মাদরাসায় হাজির হন আগে। ওই মাদরাসার প্রভাবেই পুরো গ্রামে এমন পরিবর্তন এসেছে বলে দাবি করেন, মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ আমীন। তিনি টানা ৪০ বছর ধরে ওই মাদরাসায় শিক্ষকতা করছেন।

হাফেজ আমীন পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম উর্দু পয়েন্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আমাদের গ্রামে পরিবর্তন এমনিতেই আসেনি। আমাদের মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ গ্রামে দাওয়াতি কাজ করেছেন। মানুষের মাঝে ইসলামকে সুন্দর ও সহজভাবে উপস্থাপন করেছেন। ইসলামের বিধান মানার ক্ষেত্রে এ গ্রামের সবাই একপন্থী। যার কারণে সবাইকে এক দিকনির্দেশনায় পথ দেখানো সহজ হয়।

হাফেজ আমীন বলেন, আমাদের গ্রামের এক লোক তার পরিবারের এক সদস্যের বিয়েতে গান-বাজনার ব্যবস্থা করলে ওই বিয়েতে গ্রামের কেউ যায়নি। এমনকি তার নিকটাত্মীয়রাও যায়নি। গ্রামের পরিবর্তনের পেছনে সবার এমন নজিরবিহীন একতাও একটি কারণ বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের গ্রামের কোনো দোকানে বা বাড়িতে টিভি নেই। হাতেগোনা কয়েকটি বাড়িতে আছে। তবে, আমাদের মাদরাসা থেকে তাদের বলে দেওয়া আছে–টিভি চালালেও ভলিউম কমিয়ে দেখতে হবে। কোনো পথচারী কোনো বাড়ি থেকে টিভির শব্দ শুনতে পেলে সঙ্গে সঙ্গে তিনি দাঁড়িয়ে যান এবং ওই বাড়িতে গিয়ে লোকজনকে বোঝান। এসব বিষয়ে গ্রামের কেউ কখনো বিতর্ক করেন না বলেও জানান তিনি। বরং দুঃখপ্রকাশ করে অসামাজিক বা অনৈসলামিক কাজ থেকে বিরত থাকার প্রতিজ্ঞা করেন।

এই গ্রামের মানুষগুলোও অন্যদের চেয়ে আচার-ব্যবহারে আলাদা। তারা নামাজের ব্যাপারে যত্নবান। সবাই মিলে নামাজ পড়ার জন্য চেষ্টা করেন।  তারা এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে অনেকটাই সফল হয়েছেন। গ্রামের দোকানে বা বাড়িতে টিভি প্রায় নেই বললেই চলে।

/জেআর/