এলিজা বিনতে এলাহী 22 June, 2021 06:48 PM
রাজবাড়ির স্মৃতি বলতে এখন টিকে আছে একটি দেয়াল, একটি ছোট প্রবেশদ্বার আর একটি ঘন্টা ঘন্টা। সেই ঘন্টাটি দেখবার জন্যই রাজবাড়িতে যাওয়া।
ঊনবিংশ শতাব্দীতে সিলেট নগরীর মির্জাজাঙ্গালে রাজবাড়িটি স্থাপিত হয়। তৎকালীন মনিপুরী রাজ্যের তিন সহোদর রাজা চৌর্জিৎ সিং, মার্জিত সিং ও গম্ভীর সিং রাজবাড়ীটি তৈরি করে এখানে বসবাস করতেন বলে জানা যায়।
ইতিহাস বলছে, ১৮১৯-১৮২৬ সাল মনিপুরীদের কালো অধ্যায়। ১৮২২ সালে মনিপুরী রাজ্যের সাথে বার্মার যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে রাজ্যের এক তৃতীয়াংশ লোক মারা যায়। অসংখ্য মনিপুরী পরিবার নিজ আবাসভূমি ছেড়ে বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যায়। তৎকালীন ক্ষমতাসীন রাজা চৌর্জিৎ সিংও কাছাড়ে পালিয়ে যান। রাজ্যভার গ্রহণ করেন তার সহোদর মার্জিত সিং। এক পর্যায়ে মার্জিত সিং বার্মিজদের কাছে পরাজিত হন।
মনিপুরী সম্প্রদায়ের ইতিহাস-আবেগ-অনুভূতির অন্যতম স্থান মির্জাজাঙ্গালের রাজবাড়ির সংস্কারের জন্য আজ অবধি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। রাজা কতৃক নির্মিত প্রাসাদের তিন চতুর্থাংশের কোনো অস্তিত্ব নেই। বর্তমানে মনিপুরী ঠাকুর ও ব্রাহ্মণ পরিবারের লোকজন বংশ পরম্পরায় বসবাস করছেন রাজবাড়িতে।
পূর্বসুরি রাজার রেখে যাওয়া নানা বস্তুকে স্বর্ণালি স্মৃতি হিসেবে ধারণ করে আছে পরিবারগুলো। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- একমণ ওজনের মন্দিরের একটি ঘন্টা যার গায়ে মনিপুরী ভাষায় লেখা আছে, ‘শ্রীহট্ট কুনোঙ্গী শ্রী মহাপ্রভুদা শ্রীলশ্রী পঞ্চযুক্ত মনিপুরে স্বরচন্দ কীর্ত্তি সিংহ মহারাজন্য কৎখিবী সরিকনি ইতিশকাব্দা ১৮০০ তারিখ ১৮ জৈষ্ঠ্য।’
/জেআর/