এবার মুসলিম বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী দোহা

কাতারের রাজধানী দোহাকে ‘মুসলিম বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী’ হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। আগামী ১ বছর শহরটি মুসলিম বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে বছর ব্যাপী নানা ধরনের সাংস্কৃতিক উদ্যাগ গ্রহণ করবে।

এ ব্যাপারে কাতারের শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান আয়েশা আবদুল্লাহ কাফুদ জানান, আরব ও ইসলামী সংস্কৃতির ব্যাপক প্রসারে ভূমিকা পালন করছে কাতার। দোহাকে মুসলিম বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী নির্বাচন করে আরব সংস্কৃতির ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক বুদ্ধিজীবী, লেখক ও শিল্পীদের অন্তরে এর অবস্থান তৈরি করতে সমর্থ্য হয়েছে কাতার।

দোহা সাংস্কৃতিক রাজধানীর হিসেবে ঘোষিত হওয়ার পর ইতোমধ্যে দেশটির শিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রণালয় নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আগামীকাল সোমবার (৮ মার্চ) থেকে বছর ব্যাপী এসব আয়োজন শুরু হবে। কাতারের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং আইসিইএসসিও ও কাতারের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান বিষয়ক জাতীয় পরিষদের সহায়তায় এ সাংস্কৃতিক আয়োজনগুলো সম্পন্ন করা হবে।

আইসিইএসসিও প্রতি বছর বিশ্বের তিনটি ঐতিহ্যবাহী মুসলিম শহরকে ইসলামী সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দেয়। আরব বিশ্ব, আফ্রিকা ও এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী শহরগুলোর মধ্যে নানা কর্মতৎপরতার ভিত্তিতে তা নির্বাচন করা হয়। এছাড়াও প্রতি দুই বছরে এক বার নির্বাচিত রাজধানী শহর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রীদের নিয়ে ইসলামী সম্মেলনের আয়োজন করে। ২০০৫ সালে পবিত্র সর্বপ্রথম মক্কা নগরী সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল।

জানা গেছে, অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)-এর অঙ্গসংগঠন ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল, সাইন্টিফিক এন্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (আইসিইএসসিও)-এর উদ্যোগে ২০২১ সালের জন্য দোহা সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। আরব ও মুসলিম বিশ্বে ইসলামী সভ্যতা-সংস্কৃতির প্রচার-প্রসারের ভিত্তিতে এটি নির্বাচন করা হয়।
-জেড