| |
               

মূল পাতা সারাদেশ রাজধানী চলে গেলেন হাফেজে কোরআন সাংবাদিক আহমাদ উল্লাহ


চলে গেলেন হাফেজে কোরআন সাংবাদিক আহমাদ উল্লাহ


রহমতটোয়েন্টিফোর প্রতিবেদক     25 February, 2021     12:00 PM    


দীর্ঘ ২১ বছর ধরে দৈনিক যুগান্তরের ‘ইসলাম ও জীবন’ পাতার সম্পাদনার দায়িত্বে থাকা হাফেজে কোরআন সাংবাদিক আহমাদ উল্লাহ চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ৫ মিনিটে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। বাবার ব্যাপারে আহমাদ উল্লাহর বড় ছেলে খৈয়াম গণমাধ্যমকে জানান, বাবা কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। গত কয়েক দিন ধরে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তার দুটি কিডনিতেই সমস্যা দেখা দিয়েছিল।

তার মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উসমান বিন আল আমিন নামের একজন লিখেছেন, ‘হাফেজ আহমাদ উল্লাহ। সাংবাদিক, ছড়াকার, লেখক। সবচেয়ে বড় পরিচয় লেখালেখির পৃষ্ঠপোষক। কত নবীন লেখক যে তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে এর কোনো হিসাব নেই। দৈনিক যুগান্তরের ইসলাম ও জীবন পাতাটি সম্পাদনা করেছেন প্রায় ২২ বছর। দৈনিক পত্রিকায় ধর্মও একটি কাটতি আইটেম, সেটা বোধহয় তাঁর হাত ধরেই প্রতিষ্ঠা পায়। অবশেষে তিনি চলেই গেলেন। আল্লাহ ওনাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের আলা মাকাম দান করুক, আমিন।’

শাহাদাৎ আশরাফ লিখেছেন, ‘হাফেজ আহমাদ উল্লাহ দৈনিক যুগান্তরের শুরু থেকেই পত্রিকাটির সঙ্গে ছিলেন। ২১ বছরের বেশি সময় তিনি যুগান্তরের ‘ইসলাম ও জীবন’ পাতাটি সম্পাদনা করেন। এর বাইরেও দীর্ঘদিন 'ঢাকা আমার ঢাকা' ও 'পরবাস' পাতার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ছিলেন হাফেজ, সুফি গবেষক, সাংবাদিক, কথাসাহিত্যক, ছড়াকার, লেখক। সংবাদপত্রে ইসলামি ফিচারের জনক তিনি।

ছড়াকার হিসেবেও তার পরিচিতি ছিল। তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- ১. বকলম (১৯৮৩) ২. ইনুনি বিনুনি (১৯৮৬) ৩. কাঁচাগাব পাকাগাব (১৯৯০) ৪. আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা (১৯৯২) ৫. পাঁচ কুড়ি ছড়া (১৯৯৭) ৬. চিরদিনের রূপবান (১৯৯০) ৭. হারিয়ে যেতে নেই মানা (১৯৮৮) ৮. রাজাকারের কেচ্ছা (১৯৯০)। এছাড়া পঞ্চম জাতীয় সংসদ সদস্য প্রামাণ্যগ্রন্থটি (১৯৯২) তিনি সম্পাদনা করেন।’

প্রসঙ্গত, হাফেজ আহমাদ উল্লাহ খ্যাতিমান সাংবাদিক ও ছড়াকার ছিলেন। তার জন্ম ১ নভেম্বর ১৯৫৮ নরসিংদীতে। তিনি কুরআনের হাফেজ ছিলেন এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। দৈনিক যুগান্তরের শুরু থেকেই তিনি পত্রিকাটির সঙ্গে যুক্ত। ফিচার বিভাগেও তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি অসংখ্য নবীন লেখককে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে তরুণদের প্রিয় ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছিলেন। বন্ধুবৎসল, আড্ডাপ্রিয় ও সৎ এই সাংবাদিকের মৃত্যুতে গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
-জেড

 


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: