নিজস্ব প্রতিনিধি 11 December, 2020 08:21 PM
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ইসলাম সকল প্রকার জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন, বৈষম্য, মানুষকে মানুষের দাসত্বের শিকলে আবদ্ধ করার বিপরীতে ইনসাফ তথা ন্যায়বিচার, সাম্য ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার কথা বলে। ১৯৭১ সালে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল জনগণ পরিপূর্ণভাবে আজও উপভোগ করতে পারছে না। অপরাধের শাস্তিবিধানের ক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠার থোড়াই কেয়ার করা হচ্ছে। দলীয় পরিচয়ে বড়বড় সন্ত্রাসীরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে আর লঘু অপরাধে ভিন্নমতের লোকজন গুরুদণ্ড পাচ্ছে।
এ জাতীয় ঘৃণ্য পক্ষপাতিত্বের চর্চার বিপরীতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেছেন, আমার মেয়ে ফাতেমাও যদি চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত হবে তবে (শাস্তিস্বরুপ) তার হাত কেটে দিতেও আমি দ্বিধাবোধ করব না। অতএব ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইনসাফ প্রতিষ্ঠা তথা স্বাধীনতার সুফল অর্জন করা সম্ভব নয়।
আজ শুক্রবার (১১ডিসেম্বর) খেলাফত আন্দোলন যাত্রাবাড়ী থানা কতৃক থানা কার্যালয়ে আয়োজিত ‘মহান বিজয়ের মাসে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দুআ মাহফিলে’ নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
যাত্রাবাড়ী থানা আমীর মুফতী মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জুম্মানুল আবেদীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দুআ মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকা মহানগর যুগ্ম সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মাহবুবুর রহমান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর প্রচার সম্পাদ মোফাচ্ছির হোসাইন, মাওলানা মুখতার হোসাইন, খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন প্রমূখ।
বক্তারা আরো বলেন, একটি চিহ্নিত মহল উলামায়ে কেরামকে ঢালাওভাবে স্বাধীনতা বিরোধী আখ্যা দিয়ে এদেশ থেকে ইসলাম, ইসলামী সংস্কৃতি, উলামায়ে কেরামের প্রতি জনগণের গভীর ভালোবাসাকে মিটিয়ে দেয়ার ঘৃণ্য অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে উলামায়ে কেরামের কোন অবদান নেই বলে ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। অথচ প্রকৃত সত্য হল উলামায়ে কেরাম ইংরেজ বেনিয়াদের হাত থেকে উপমহাদেশকে মুক্ত করার ২০০ বছরব্যাপী চলমান জিহাদ ও আন্দোলনের সম্মুখ সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন।
বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধকে হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর মত সর্বজনশ্রদ্ধেয় আলেম জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের লড়াই আখ্যা দিয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস ও গতিধারা অনুধাবন করতে হলে ব্রিটিশ শাসন ও তৎপরবর্তী আন্দোলন-সংগ্রাম-জিহাদের ধারাবাহিকতাকে সামনে আনতে হবে এবং প্রকৃত সত্যকে দেশের জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে সকল মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রুহের মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে দুআ করা হয়।