| |
               

মূল পাতা জাতীয় আইন-আদালত বিজিবির মামলায় এনজিও নারী কর্মীর বিরুদ্ধে সমন জারি


বিজিবির মামলায় এনজিও নারী কর্মীর বিরুদ্ধে সমন জারি


কক্সবাজার প্রতিনিধি     22 November, 2020     03:46 PM    


বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবির) দায়ের করা ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলায় এনজি নারী কর্মী ফারজানা আক্তারের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে আদালত।

রোববার (২২ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট- ৩ এর বিচারক মোঃ হেলাল উদ্দিন এ আদেশ দেন। আদালতে বিজিবির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট সাজ্জাদুল করিম ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ।

আদালতের কার্যক্রম শেষে অ্যাডভোকেট সাজ্জাদুল করিম সাংবাদিকদের জানান,  বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে এনজিও কর্মী ফারজানা বিজিবির মতো একটি সুশৃংখল বাহিনীর মানহানি করেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে সেটি উঠে এসেছে। তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ওই নারীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে আদালত। পরবর্তী ধার্য্য তারিখে মামলার শুনানি হবে।

এর আগে, গত ৮ অক্টোবর টেকনাফ বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের দমদমিয়া চেকপোস্টে নিয়মমতো অন্যদের সাথে ব্লাস্টের এক নারী কর্মীকেও তল্লাশি করা হয়।এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই নারী পরে বিজিবি সদস্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। তার বক্তব্য দিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় অনেক গণমাধ্যম অনলাইন ভার্সনে প্রতিবেদনও প্রচার হয়। এ নিয়ে হৈচৈ পড়ে যায়।

 ঘটনার সত্যতা জানতে দ্রুত তৎপর হয়ে উঠে গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য গণমাধ্যমও। কিন্তু পরে প্রশাসনিক নির্দেশে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে সেই এনজিও নারী কর্মীকে ধর্ষণের আলামত পাননি বলে রিপোর্ট দেন।

ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচার করার অভিযোগে  গত ১০ নভেম্বর  কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই নারীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি ৫০০ ধারায় ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করে বিজিবি। বিজিবির নায়েব সুবেদার মোহাম্মদ আলি মোল্লা মামলার বাদী হন।

মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত সাত কার্যদিবসের মধ্যে আর্জিতে উল্লিখিত সাক্ষীদের জবানবন্দি নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।

সেই নির্দেশনায়  মামলাটি তদন্ত করেন টেকনাফ থানার ওসি (অপারেশন) ইন্সপেক্টর শরিফুল ইসলাম। তিনি রোববার আদালতে প্রতিবেদন জমা দিলে চাঞ্চল্যকর মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

তবে মামলার দিন থেকে এ পর্যন্ত অভিযুক্ত নারী এনজিও কর্মী কোনও সংবাদকর্মীর ফোন রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তারও কোনও রিপ্লে দেন না। এনজিও সংস্থা ব্লাস্টের কোনো কর্মকর্তাও এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
-জেড