| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল “আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস” হতে হবে সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি : খেলাফত মজলিস


“আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস” হতে হবে সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি : খেলাফত মজলিস


রহমত নিউজ     16 January, 2025     06:56 PM    


স্বল্প সময়ের মধ্যে ৪টি সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন পেশ করায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সংবিধান, নির্বাচন, পুলিশ ও দুদক সংস্কার কমিশন কর্তৃক পৃথকভাবে যে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে তার বেশ কিছু সুপারিশ বাস্তব সম্মত ও গ্রহণযোগ্য। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় আদর্শের বিপরীত এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করবে। এদেশ ১৯৪৭ সালে বৃটিশদের হাত থেকে মুসলিম জাতীয়তাবাদ এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের হাত থেকে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার ভিত্তিতে স্বাধীনতা পেয়েছিল। সুতরাং মুসলিম জাতীয়তা ও ইসলামী মূল্যবোধকে উপেক্ষা করে এখানে কোন সংস্কার গ্রহণযোগ্য হবে না।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবনায় অন্যতম মূলনীতি হিসেবে উল্লেখিত ‘বহুত্ববাদ’ শব্দটি বিভ্রান্তিকর। আমরা দ্ব্যার্থহীন ভাষায় বলতে চাই, সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে “আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস”, “জনগণের অংশীদারিত্ব ও প্রতিনিধিত্ব এবং শোষণ-জুলুম ও বৈষম্যমুক্ত আদর্শ” থাকতে হবে। রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে “ইসলাম” অক্ষুন্ন রাখা এবং কুরআন ও সুন্নাহ বহির্ভূত কোন আইন প্রণয়ন করা যাবে না তার নিশ্চয়তা থাকতে হবে।

গতকাল বুধবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭ টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকারকে সংশ্লিষ্ট অংশীজন বিশেষ করে নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দলকে সাথে নিয়ে সংস্কার প্রস্তাবনাগুলো আরো যাচাই-বাছাই করতে হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিভেদ নয় ঐক্য, কল্যাণমূলক রাষ্ট্র এই প্রতিপাদ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। পতিত স্বৈরাচার কর্তৃক দেশ ও দেশের মানুষকে বিভক্ত করার মিথ্যা বয়ানগুলো পরিহার করতে হবে।

সংগঠনের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত নির্বাহী বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, বায়তুলমাল সম্পাদক আবু সালেহীন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা: রিফাত হোসেন মালিক, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, জিল্লুর রহমান, ফয়জুল ইসলাম, এডভোকেট শায়খুল ইসলাম, আমিনুর রহমান ফিরোজ, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, নুর হোসেন, হাফেজ নুরুল হক প্রমুখ।