‘কাল মালিবাগ জামিয়ার ভর্তি শুরু; মানতে হবে যেসব শর্ত’

জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগ ঢাকার ১৪৪৪/৪৫ হিজরী শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম আগামী (২৭ এপ্রিল,৬ শাওয়াল) বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে শুরু হবে। ভর্তিচ্ছু সকল শিক্ষার্থীকে যথাসময়ে ভর্তির কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে মাদরাসা কতৃপক্ষ।

নতুন ছাত্রের জন্য ভর্তির নিয়মাবলী :

১. নতুন ভর্তিচ্ছু ছাত্র বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল,৬ শাওয়াল) সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে জামিয়ার মসজিদের নিচতলার বারান্দা (৬টি টেবিল) হতে ভর্তি ফরম সংগ্রহ করবে। ভর্তি ফরম প্রদান করবেন ৬ জন শিক্ষক। 
২. ভর্তি ফরম সংগ্রহ করার পর আবেদনকারী ছাত্র ভর্তি ফরমে নির্দেশিত সকল খালি ঘর স্পষ্ট অক্ষরে নির্ভুলভাবে পূরণ করবে। 
৩. ভর্তি ফরমের সাথে বাধ্যতামূলক নিজের সদ্য তােলা এক কপি পাসপাের্ট সাইজের ছবি এবং এন. আই. ডি. কার্ডের ফটোকপি/জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট সংযুক্ত করবে।
৪. তারপর আবেদনকারী ভর্তিচ্ছু ছাত্র নিজের চুল-দাড়ি, বেশ-ভূষা যাচাইর জন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল শিক্ষকের নিকট যাবে এবং পরীক্ষা দিয়ে তার দস্তখত সংগ্রহ করবে। 

উল্লেখ্য যে, সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল শিক্ষক নিম্নোক্ত বিষয়াদি লক্ষ্য করবেন- 
            ক. চুল-দাড়ি সুন্নত মােতাবেক যথাযথ আছে কি না?
            খ. বেশ-ভূষা যথাপােযােগী কি না?
            গ. ভর্তি ফরমের সাথে ছবি, এন. আই. ডি. কার্ড/জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট এবং জরুরী কাগজপত্র যুক্ত আছে কি না?
            ঘ. ছবির সাথে আবেদনকারী ছাত্রের চেহারার মিল আছে কি না? অর্থাৎ, ছবিটি আবেদনকারীর- এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন কি না?

৫. হিফয, ইবদেতাইয়্যাগ ও মুতাওয়াসসিতাহ-১ম জামাতে ভর্তিচ্ছু ছাত্র মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি লাভের জন্য তার ভর্তি ফরম সরাসরি মুহতামিমে জামিয়া বরারব দাখিল করবে। উল্লেখ্য সংশ্লিষ্ট জামাতের ভর্তিচ্ছু ছাত্রদের লিখিত পরীক্ষা হবে না।
৬. ফরম জমা নিবেন এবং লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র প্রদান করবেন জামিয়ার মসজিদের নিচতলার অবস্থানরত ১২ জন শিক্ষক ১২ টি টেবিলে হতে।
৭. এরপর ভর্তিচ্ছু ছাত্র লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র হাতে নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করবে।
১-৪০০ পর্যন্ত ক্রমিক নং ধারী ছাত্রদের জন্য ১নং হল- মসজিদের নিচতলা। ৪০১- ও তদুর্ধ্ধ ছাত্রদের জন্য ২নং হল- মসজিদের ২য় তলা।

৮. লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রদের তালিকা প্রকাশ বিকাল ৩টায়।
৯. তালিকা প্রকাশের পর তালিকাভুক্ত ছাত্ররা মুহতামিমে জামিয়ার নিকট হতে ভর্তি পরীক্ষার জন্য পরীক্ষক নির্ধারণপূর্বক দস্তখত সগ্রহ করবে। 
১০. তারপর ফরমে উল্লিখিত পরীক্ষকের নিকট গিয়ে পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।
১১. পরীক্ষা নেওয়ার পর পরীক্ষক আবেদনকারীর ভর্তি ফরমে ভর্তি নম্বর প্রদান করে ফরমটি নিজ যিম্মায় নিয়ে নিবেন এবং  দফতরে ইহতিমামে জমা দিবেন।
১২. তারপর আবেদনকারী ছাত্র ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে থাকবে।
১৩. ভর্তি পরীক্ষার ১ম দিন রাত ১০টায় দফতরে ইহতিমাম সংশ্লিষ্ট নােটিশ বাের্ডে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ছাত্রদের মধ্য হতে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও ভর্তিযােগ্য ছাত্রদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে। (উল্লেখ্য যে, ভর্তি পরীক্ষার ২য় দিনে উত্তীর্ণ ও ভর্তিযােগ্য ছাত্রদের নামের তালিকা প্রকাশ হবে সংশ্লিষ্ট দিন বাদ মাগরিব।)
১৪. তারপর তালিকাভুক্ত ছাত্র দফতরে ইহতিমাম হতে তার ভর্তি ফরম সংগ্রহ করে চুড়ান্ত অনুমােদনের জন্য মুহতামিমে জামিয়া বরাবর ভর্তি ফরম পেশ করবে এবং দস্তখত সংগ্রহ করবে। 
১৫. মুহতামিমে জামিয়া হতে চুড়ান্ত অনুমােদন প্রাপ্তি ও দস্তখত লাভের পর আবেদনকারী ছাত্র ভর্তি ফরম নিয়ে জামিয়ার অফিস কক্ষে যাবে এবং ভর্তি ফীসহ যাবতীয় খরচাদি পরিশােধ করবে। উল্লেখ্য যে, ভর্তি সংশ্লিষ্ট যাবতীয় খরচাদির বিস্তারিত বিবরণ নােটিশ বাের্ডে ভিন্নভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
১৬. তারপর আবেদনকারী ছাত্র ভর্তিসংশ্লিষ্ট যাবতীয় খরচাদি পরিশােধ সম্বলিত কাগজ-পত্র প্রদর্শনপূর্বক ভর্তি ফরম নাযিমে দফতর (দফতর সম্পাদক) বরাবর দাখিল করবে। অতঃপর সবকিছু যথাযথভাবে সম্পন্ন হলে নাযিমে দফতর ভর্তি রেজিষ্টারে তার নাম তালিকাভুক্ত করবেন এবং দাখেলা (ভর্তিক্রম) নম্বর প্রদান করবেন। এভাবে আবেদনকারী ছাত্রের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।

তারিখ ওয়ারী ভর্তি ও ভর্তি পরবর্তী কার্যক্রম
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল,৬ শাওয়াল) : 
পুরাতন ছাত্রদের : ভর্তির যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করণ।
নতুন ছাত্রদের : ভর্তির ফরম সংগ্রহ করণ।
ভর্তির পরীক্ষায় (লিখিত ও মৌখিক) অংশগ্রহণ। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রদের তালিকা প্রকাশ।
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর ভর্তিযোগ্য ছাত্রদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল, ৭ শাওয়াল) : 
সকাল ৭.৩০ হতে বেলা ১১ টা এবং বিকাল ৩ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত পর্যন্ত তালিকাভুক্ত নতুন ছাত্রদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করণ। উল্লেখ্য, উক্ত সময়ের মধ্যেই নতুন ছাত্রদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

বি: দ্র: উক্ত দিন দুপুর হতে (নিয়মতান্ত্রিক খানাজারীর পূর্বে) সকল ছাত্র প্রতি মিল ৪০/= (চল্লিশ টাকা) হারে জামিয়ার বাের্ডিং হতে (দুপুর ও রাত) দু বেলা খানা জারী করতে পারবে। তবে সে ক্ষেত্রে আগ্রহী ছাত্রকে অবশ্যই নূন্যতম ১০ ঘন্টা পূর্বে বাের্ডিং ম্যানেজারের নিকট নির্ধারিত হারে টাকা জমা দিতে হবে।

শনিবার (২৯ এপ্রিল, ৮ শাওয়াল)  :
সকাল ৭.৩০ হতে- সকাল ১০টা পর্যন্ত খরীদী ও ইমদাদী খানার দরখাস্ত গ্রহণ। রাতের বেলায় খরীদী খানা জারী।

রবিবার (৩০ এপ্রিল, ৯ শাওয়াল)  :
ইমদাদী খানার আবেদনপত্র যাচাই কার্যক্রম।
সিট বণ্টন- (বাদ মাগরিব হতে এশা) ।
বি. দ্র. সিট বণ্টন করবেন প্রতি তলার নাযিমে দারুল ইকামা।

সােমবার  [১ মে, ১০ শাওয়াল] :  
ইমদাদী খানাপ্রাপ্ত ছাত্রদের তালিকা প্রকাশ ও খানা জারী।
কিতাব বিতরণ।
বি. দ্র. কিতাব সংগ্রহের জন্য নােটিশ বাের্ডে সংযুক্ত নিয়মাবলী প্রণিধানযােগ্য।

মঙ্গলবার [২ মে, ১১ শাওয়াল] : সকাল ৮টায় ইফতিতাহী মজলিস।
বুধবার [৩ মে, ১২ শাওয়াল] : নিয়মতান্ত্রিকভাবে দরস শুরু।

বি: দ্র: খরীদী/ফ্রি খানা জারীর পূর্বে ভর্তিপ্রাপ্ত ছাত্র প্রতি মিল ৪০/= (চল্লিশ টাকা) হারে বাের্ডিং-এ প্রদানপূর্বক বাের্ডিং ম্যানেজারের সহিত যােগাযােগ করে খানা জারী করতে পারবে। 
স্মর্তব্য যে, খরীদী/ইমদাদী খানা জারীর জন্য নােটিশ বাের্ডে সংযুক্ত নিয়মাবলী প্রণিধানযােগ্য। 

যে সব কক্ষে নতুন ছাত্রদের ভর্তি কার্যক্রম চলেব
১. ভর্তি ফরম বিতরণ : জামিয়ার মসজিদের নিচ তলার বারান্দা
২. বেশ-ভূষা যাচাই পরীক্ষা ও লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রবেশপত্র প্রদান : জামিয়ার মসজিদের নিচ তলার বারান্দা
৩. লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রদের মৌখিক পরীক্ষার জন্য পরীক্ষক নির্ধারণপূর্বক মুহতামিমে জামিয়ার দস্তখত : দফতরে ইহতিমাম (৩য় তলা)
৪. লিখিত পরীক্ষা : জামিয়ার মসজিদের ১ম তলা (১নং হল)। মসজিদের ২য় তলা (২নং হল)। 
৫. মৌখিক পরীক্ষা : জামিয়ার মসজিদের ২য় তলা 
৬. হিফজ বিভাগে ভর্তিচ্ছু ছাত্রদের পরীক্ষা : জামিয়ার ৫ম তলা
৭. মুহতামিমে জামিয়ার চূড়ান্ত অনুমোদন ও দস্তখত : দফতরে ইহতিমাম (৩য় তলা)
৮.  ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় খরচাদি পরিশোধ :  অফিস কক্ষ (নিচতলা)
৯. ছাত্রকল্যাণ তহবিল ও ছাত্র পাঠাগার চাঁদা পরিশোধ :  দফতরে ইহতিমাম (৩য় তলা)
১০. নাযিমে দফতরের কার্যাবলী ও দাখেলা নম্বরসহ ভর্তি কার্য সম্পন্ন করণ : দফতরে ইহতিমাম (৩য় তলা)

ভর্তিচ্ছু নতুন ছাত্রদের যে সকল কিতাবের পরীক্ষা নেওয়া হবে ও ভর্তি নম্বর
ইফতা : 
লিখিত পরীক্ষা:
১. হিদায়া: (বুয়ু) ৫০
২. নূরুল আওয়ার (কিতাবুল্লাহ)। ৩০
৩. সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধ (বাংলা ও আরবী)। ২০
মৌখিক পরীক্ষা :
হিদায়া  বুয়ু (ফাতহুল কাদীরসহ) ও সংশ্লিষ্ট যে কোন কিতাব।
ভর্তি নম্বর-৮৫

তাকমীল (দাওরায়ে হাদীস)
লিখিত পরীক্ষা:
১. মিশকাত শরীফ (সম্পূর্ণ)। ৫০
২. হিদায়া - ৩য়, ৪র্থ ৪০
৩. হাতের লেখা (বাংলা ও আরবী)। ১০
বি. দ্র : লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের উপরোক্ত কিতাবসমূহে হতে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।
ভর্তি নম্বর-৮০

ফযীলত ২য় বর্ষ : 
লিখিত পরীক্ষা:
১. জালালাইন শরীফ। (সম্পূর্ণ)। ৫০
২. হিদায়া - ১ম, ২য় ৪০
৩. হাতের লেখা (বাংলা ও আরবী)। ১০
বি. দ্র : লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের উপরোক্ত কিতাবসমূহে হতে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।
ভর্তি নম্বর-৮০

ফযীলত ১ম বর্ষ : 
১. শরহে বেকায়াহ (১ম ও ২য়)। ৫০
২. মুখতাসারুল মাআনী ৪০ 
৩. হাতের লেখা (বাংলা ও আরবী)। ১০
বি. দ্র : লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের উপরোক্ত কিতাবসমূহে হতে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।
ভর্তি নম্বর-৮০

সানাবিয়্যাহ :
১. কাফিয়া। ৫০
২. উসূলুস শাশী ৪০ 
৩. হাতের লেখা (বাংলা ও আরবী)। ১০
বি. দ্র : লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের উপরোক্ত কিতাবসমূহে হতে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।
ভর্তি নম্বর-৮৫

মুতাওসসিতাহ-৪র্থ বর্ষ :
১. হেদায়াতুন নাহব ৪০
২. ইলমুস সীগাহ ২৫ 
৩. কাসাসুন নাবিয়্যীন ৩য় ২৫
৪. হাতের লেখা (বাংলা ও আরবী)। ১০
বি. দ্র : লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের উপরোক্ত কিতাবসমূহে হতে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।
ভর্তি নম্বর-৮৫

মুতাওসসিতাহ-৩য় বর্ষ : 
১. নাহবেমীর / আন নাহবুল মুয়াসসার ৪০
২. ইলমুস সরফ / পাঞ্জেগাঞ্জ ৩০ 
৩. রওজাতুল আদব, কাসাসুন নাবিয়্যীন ১ম, ২য় ২০
৪. হাতের লেখা (বাংলা ও আরবী)। ১০
বি. দ্র : লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের উপরোক্ত কিতাবসমূহে হতে মৌখ পরীক্ষা নেওয়া হবে।
ভর্তি নম্বর-৮৫

মুতাওসসিতাহ-২য় বর্ষ :
১. এসাে আরবী শিখি ১ম, ২য় ও ৩য়, আত তামরীনুল কিতাবসহ ৬০
২. বাংলা, অংক, ইংরেজী (৬ষ্ঠ) ৩০ 
৩. হাতের লেখা (বাংলা ও আরবী)। ১০
মৌখিক পরীক্ষা : মিযানুস সরফ ও মুনাশাইব
ভর্তি নম্বর-৮৫

মুতাওসসিতাহ-১ম বর্ষ :
মৌখিক পরীক্ষা :
১. তাইসীরুল মুবতাদী ও ফার্সী কী পহেলী কিতাব ৩০
২. উর্দূ কী তেসরী কিতাব ৩০
৩.বাংলা, অংক, ইংরেজী (৫ম) ২৫
৪. হাতের লেখা (বাংলা ও আরবী)। ১০
ভর্তি নম্বর-৮৫

১০. ইবতিদায়ী :
মৌখিক পরীক্ষা :
১. কুরআনে কারীমের তেলাওয়াত ও তাজবীদ ৪০
২. ঊর্দূ কায়দায় অংশ বিশেষ ১০
৩. বাংলা, অংক ও ইংরেজি (৪র্থ শ্রেণি)। ৩০
৪. হাতের লেখা ২০
ভর্তি নম্বর-৮৫

১১. হিফজ বিভাগ
            ১. তাজবীদসহ পূর্ণ ত্রিশ পারা নাযিরা পড়া থাকতে হবে।
            ২. নূন্যতম ৮ (আট) পারা হিফজ (মুখস্থ) থাকতে হবে
ভর্তির জন্য ভর্তি নম্বর পাওয়ার সাথে সাথে কোটা থাকা শর্ত।

খরীদী খানা জারীর নিয়মাবলী : 
যে ছাত্র জামিয়ার বাের্ডিং হতে খরিদী খানা খেতে ইচ্ছুক- সে প্রথমতঃ মুহতামিমে জামিয়া বরাবর দরখাস্ত প্রদান করে মঞ্জুরী গ্রহণ করবে। অতঃপর বাের্ডিং ম্যানেজারের নিকট প্রথম মাসে মাসিক খরচ বাবদ অগ্রীম ২,৫০০/= (দুই হাজার পাঁচশত টাকা) জমা করার মাধ্যমে খানা জারী করবে।  উল্লেখ্য যে, পরবর্তী মাস হতে মাসিক খরচ অনুযায়ী টাকা নেওয়া হবে।

ইমদাদী খানা জারীর নিয়মাবলী : ইমদাদী খানা খেতে ইচ্ছুক ছাত্র মুহতামিমে জামিয়া বরাবর দরখাস্ত লিখে নির্দিষ্ট তারিখে দফতরে ইহতেমামে জমা করবে। ফ্রি খানার উপযুক্ততা যাচাইয়ের পর কোটা থাকার শর্তে মুহতামিমে জামিয়া কর্তৃক দরখাস্ত মঞ্জুর করা হবে এবং ইমদাদী খানাপ্রাপ্ত ছাত্রদের নামের তালিকা নােটিশ বাের্ডে টানিয়ে দেওয়া হবে। তালিকাভুক্ত ছাত্র নিজ দরখাস্ত দফতরে ইহতিমাম হতে উত্তোলন করবে এবং জামিয়ার অফিস কক্ষ হতে ইমদাদী খানার ওকালতনামা উঠাবে। উক্ত ওকালতনামায় নির্দেশিত সকল খালি ঘর পূরণ করে দরখাস্তসহ জামিয়ার দফতরে ইহতিমামে জমা করবে। পরবর্তীতে ইমদাদী খানাপ্রাপ্ত ছাত্রদের তালিকা ও খানা জারীর তারিখ জামিয়ার দফতরে ইহতিমাম হতে নােটিশ বাের্ডে প্রকাশ করা হবে। উল্লেখ্য, ইমদাদী খানার আবেদনকারী ছাত্র আবেদনপত্রে উল্লিখিত যাবতীয় তথ্যাদি সঠিকভাবে পূরণ করবে। কোন তথ্য ভুল প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ছাত্র স্থায়ীভাবে ইমদাদী খানা লাভের সক্ষমতা হারাবে। স্মর্তব্য, ইমদাদী খানাপ্রাপ্ত ছাত্র সাধ্যানুযায়ী আর্থিকভাবে মাদরাসায় সহায়তা করবে।

কুতুবখানা হতে কিতাব সংগ্রহের নিয়মাবলী :
১. জামিয়ার কুতুবখানা থেকে মুতাওসসিতাহ-৪র্থ বর্ষ হতে তাকমীল (দাওরায়ে হাদীস) পর্যন্ত অধ্যয়নকারী ছাত্রদের আবেদন প্রেক্ষিতে চলমান শিক্ষাবর্ষের জন্য দরসী কিতাব (৬) প্রদান করা হয়ে থাকে।
২. জামিয়ার কুতুবখানা হতে কিতাব সংগ্রহ করতে ইচ্ছুক ছাত্র জামিয়ার অফিস কক্ষে নির্ধারিত ফী প্রদান করতঃ ফরম গ্রহণ করবে। উক্ত ফরমে নির্দেশিত সকল খালি ঘর পূরণ করে জামিয়ার কোন এক উদ্ভাদ থেকে সুপারিশ গ্রহণ করে মুহতামিমে জামিয়ার মঞ্জুরী গ্রহণ করবে। অতঃপর উক্ত ফরম নাজেমে কুতুবখানা বরাবর পেশ করে কিতাব সংগ্রহ করতে পারবে।

নতুন/পুরাতন ভর্তিচ্ছু ছাত্রদের খরচাদি : 
১. ভর্তি ফরম :   ২৫০/= 
২. ভর্তি ফী (কিতাব বিভাগ, হিজখানা) : ২,২০০/=
৩. এককালীন ফী : ২,৫০০/=
৪. পাঠাগার চাদা :     ১০০/=
৫. ছাত্রকল্যাণ চাদা :     ১০০/=
ভর্তি সংক্রান্ত সর্বমােট খরচ : ৫,১৫০/= 

অন্যান্য খরচ :
১. খরীদি খানার খরচ (দুবেলা) : ২,৫০০/=
২. ইমদাদী খানা জারীর জন্য খরচ : সাধ্যানুযায়ী
৩. সকালের নাশতা :     ৭০০/=
৪. কুতুবখানা হতে কিতাব উত্তোলনের খরচ :     ৩০০/=
৫. মাসিক বেতন ও যাবতীয় বিল বাবদ খরচ :     ৩০০/= (কিতাব বিভাগ)
৬. মাসিক বেতন ও যাবতীয় বিল বাবদ খরচ :   ১,০০০/= (ইফতা বিভাগ)
৭. মাসিক বেতন ও যাবতীয় বিল বাবদ খরচ :     ৫০০/= (হিফজ বিভাগ)

আবাসিক মক্তব বিভাগ
১. ভর্তি ফরম :   ২৫০/=
২. ভর্তি ফি : ২,০০০/=
৩. এককালীন ফী : ২,৫০০/=
৪. ছাত্রকল্যাণ চাঁদা :     ১০০/=
৫. পাঠাগার চাদা :     ১০০/=
ভর্তি সংক্রান্ত সর্বমােট খরচ : ৪,৯৫০/= 

অন্যান্য খরচ :
১. মাসিক বাের্ডিং চার্জ   : ২,৮০০/=
২. মাসিক বেতন, বিদ্যুৎ ও গ্যাস   : ১,৭০০/=
সর্বমােট মাসিক খরচ   : ৪,৯৫০/=