| |
               

মূল পাতা রাজনীতি সরকার রক্ষক হয়েও ভক্ষকের ভূমিকা পালন করেছে : মান্না


সরকার রক্ষক হয়েও ভক্ষকের ভূমিকা পালন করেছে : মান্না


রহমত ডেস্ক     09 June, 2022     03:56 PM    


নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া অন্যকিছু দেখতে চায় না। বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য এখন সরকার থেকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলা হচ্ছে। বিএনপি যদি তাদের লক্ষ্যে অটুট থাকে তাহলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আসবেই। আমরা রাজনৈতিক দল মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারি না। এটা পারে সরকার। এজন্য এমন একটি সরকার দরকার যে সরকার জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারবে। বর্তমানে এমন একটি সরকার রয়েছে যারা ভোট চুরি, ভোট ডাকাতি ছাড়া অন্য কিছু বোঝে না। বিগত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আমাদের আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও ফলাফল ঘরে আনতে পারিনি। কারণ বর্তমান সরকার রক্ষক হয়েও ভক্ষকের ভূমিকা পালন করেছে। সেই নির্বাচনে আওয়ামী আর প্রশাসন এক হয়ে নির্বাচন করেছে।

আজ (৯ জুন) বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত’ ভোটের অধিকার রক্ষায় আমাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ২০ দলীয় জোট নেতা খন্দকার লুৎফর রহমান, সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, মাওলানা এবিএম আসাদুল হক, মো. ফরিদ উদ্দিন, এম মাহবুবুর রহমান ভূইয়া, রমজান আলী, আব্দুল হান্নান এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।

মান্না বলেন, ১৯৮৬ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের লালদিঘীতে বলেছিলেন যারা এরশাদের অধীনে নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেঈমান। তারপরের দিনই তিনি নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এরপর থেকে আমরা ওই দলকে জাতীয় বেঈমান হিসেবেই জানি।’ সরকার দেশটাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে, এখন কোনো অঘটন ঘটলেই বলে নাশকতা। তারা উদোরপিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপায়। অন্যায় করে একজন, শাস্তি ভোগ করে আরেক জন। আমি দীর্ঘদিন ওই দলটিতে ছিলাম বিতৃষ্ণা চলে এসেছে। আমি দেখেছি, কি অন্যায়, কি অবিচার, কিভাবে একটি রাজনৈতিক দল ভাঙতে হয়, কিভাবে আন্দোলন বানচাল করতে হয়, সহ্য হয়নি। এরা শুধু মানুষকে কষ্ট দিতেই জানে। বুকের ভেতরে কষ্ট নিয়ে একা একা হেটে চলে এসেছি।

তিনি আরো বলেন, আমাদের আন্দোলন কিন্তু ব্যর্থ হয়নি। এ সরকার ভোট ডাকাতি করেছে এটাই আমাদের জয়। কারণ এরা যে দুর্নীতিবাজ, জালিমশাহী সরকার তা জনগণের কাছে চিহ্নিত করতে পেরেছি। বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একটি রাজনৈতিক দল। আমরা তাদের নেতৃত্বে আন্দোলন করতে চাই। এক্ষেত্রে সঠিক নেতৃত্ব প্রয়োজন। তারা ১৪ বছর ক্ষমতার বাইরে। তারা এখন বলছে ক্রান্তিকাল চলছে। এই ক্রান্তিকালকে যদি আমরা ব্যবহার করতে না পারি তাহলে কাঙ্খিত ফলাফল ঘরে আনা যাবে না। বাংলাদেশে একটা বড় ধরনের গণঅভ্যুত্থান হতে পারে, যেটা আমরা না জানলেও সরকার জানে। সরকার গতকাল বুধবার হঠাৎ করে বড় একটা শোডাউন করেছে। কিন্তু এ ধরনের শোডাউন করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।