| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল সমমনা ৮ দলের খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত; যা বললেন নেতারা


সমমনা ৮ দলের খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত; যা বললেন নেতারা


রহমত নিউজ     01 December, 2025     07:19 PM    


জুলাই জাতীয় সনদ সফল বাস্তবায়ন ও জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনসহ ৫দফা দাবিতে খুলনায় ৮ দলের বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে আন্দোলনরত ৮দল খুলনার উদ্যোগে মহানগরীর ঐতিহাসিক বাবরী চত্বরে (শিববাড়ী মোড়) খুলনা বিভাগীয় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

দলগুলো হলো, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী :

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন,  ৫ আগস্ট বিপ্লবের পরদিন থেকে একটি গোষ্ঠী প্রভাব বিস্তারের জন্য জনগনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি অরাজগতা অব্যাহত আছে। ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে। প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে। মানুষ বলতে বাধ্য হচ্ছে, আগে ভালো ছিলাম না, এখন আরও খারাপ আছি। তবে এ সময় কোন ইসলামি দলের গায়ে চাঁদাবাজের তকমা লাগেনি। আমরা ৮ দলের বিজয় চাইনা, আমার বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই। আমরা দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, ন্যায় বিচার, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, তাবেদারি নয়- স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়ে যেতে চাই। 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ :

সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর পীরসাহেব চরমোনাই মুফতী সৈয়দ মো. রেজাউল করিম বলেন, অনেকে বলেন আমার নির্বাচনের জন্য প্রস্তত নই। কিন্ত আমার নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তত। কিন্ত তারাই ফেব্রুয়ারীর নির্বাচন নিয়ে হিসাব নিকাশ করে দেখেছেন তাদের পায়ের তলে মাটি সরে গেছে। এবার নির্বাচন নিয়ে আপনারাই ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। গুন্ডামি করে, সেন্টার দখল করে, সন্ত্রাসী চালিয়ে ক্ষমতার চেয়ারে বসবেন। সেদিন ভুলে যান। সে সুযোগ আর আপনারা পাবেন না।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস :

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশে দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। ৭২ বাকশালপন্থি আর একভাগ ২০২৪ সালের বিপ্লবপন্থি শক্তি।

তিনি বলেন, রক্তের সাগর পেরিয়ে ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের পর যেই ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত করা হয়েছে, সেই ফ্যাসিবাদ বাংলার মাটিতে আসবে না। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি কার্যকরে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম। জুলাই সনদকে চূড়ান্ত আইনি ভিত্তি দিতে গণভোটের আয়োজন করতে হবে। একসঙ্গে তালগোল পাকিয়ে এই মাহা ত্বকে নষ্ট করবেন না। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন করা হোক। 

খেলাফত মজলিস : 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় থেকে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। তারা চেয়েছিল ৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে। ৮ দল ক্ষমতায় গেলে চাঁদাবাজ থাকবে না। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, এটাকে কেউ ভাঙতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন :

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানী বলেন, এদেশের সংবিধান হবে আল্লাহর কুরআন। সংসদে হবে কুরআনের আইন। যেকোনো ষড়যন্ত্র আমরা মোকাবেলা করব। মানুষকে বোঝাতে হবে আল্লাহর আইন ছাড়া শান্তি সম্ভব না।

বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি :

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ নেজামী ইসলামী পার্টির মহাসচিব মুফতি মুসা বিন ইজহার বলেন, খান জাহান আলীর শহর খুলনা, রূপালী শহর খুলনা। যারা সংস্কারের বিরুদ্ধে থাকবে, আগামী নির্বাচনে জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করবে। যারা এদেশে শরীয় আইন চায়না তাদের লাল কার্ড দেখাবে। সিসা ঢালা এই ঐক্য ধরে রেখে আমরা ইসলামী সংসদ গড়ে তুলবো।

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) :

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান বলেছেন, যারা বলেছিলেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিবকে খুলনায় আসতে দিবে না। তারা এসে দেখে যান বাবরী চত্বর ইসলামী দলে ভরে উঠেছে। জাতীয় নির্বাচন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ৫ আগস্টে জনগণ দেখেছে এদেশের জনগণ হিন্দুত্ববাদ কায়েম করতে চায় না।  বাংলাদেশের জনগণ চাঁদাবাজি দেখতে চায় না। গণভোটের প্রশ্নে তিনি বলেন, গণভোটকে হ্যাঁ বলুন, ৮ দলের প্রতীকে সিল মারুন।

বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি) :

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট পার্টি বিডিপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন বলেন, জুলাই মানে অকাতরে সংগ্রাম করে জীবন দিতে হবে না। আমরা দেশদ্রোহীদের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়েছি। এদেশের মানুষ অন্য দেশের দালালি করতে চায় না। মানুষ দালালি নয় মুক্তি চায়।