মূল পাতা জাতীয় নির্বাচন কমিশন গণভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন!
 
            
            রহমত নিউজ 31 October, 2025 02:29 PM
গণভোট আয়োজনের জন্য বাড়তি অর্থ ছাড় ও অতিরিক্ত ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত রাখার বিষয়ে সরকারের দুই মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কমিশন বলছে, গণভোট কখন হবে, সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে হবে নাকি পৃথকভাবে হবে, তা নির্ধারণ করবে সরকার। তবে গণভোট করতে হলে সে প্রস্তুতি রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক-প্রস্তুতি নিয়ে সম্পৃক্ত মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব এবং অধিদপ্তর ও কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সভায় গণভোটের বিষয়টি উঠে আসে। কমিশন তখন জানায়, গণভোটের জন্য বাড়তি অর্থ প্রয়োজন হবে, এজন্য টাকা ছাড় করতে অর্থ বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গণভোটের জন্য অতিরিক্ত ভোটকক্ষের প্রয়োজন হবে, এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র এরই মধ্যে নির্ধারণ করেছে ইসি। গণভোট একসঙ্গে হলে ভোটকেন্দ্র বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া পৃথকভাবে ভোট হলে গণভোটের জন্য বাড়তি ব্যয়ও হবে। এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রস্তুতি রাখতে বলা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গণভোট আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সংক্রান্ত প্রস্তুতি রাখতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন। তাদের বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের তালিকা তৈরি হয়েছে।
ইসি বলছে, একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা হলে ভোটকেন্দ্র এবং ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বাড়বে। বিষয়টি মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিতে হবে। আর পৃথক দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের আয়োজন করলে দুই নির্বাচনের যে ব্যয় সে অর্থ সংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
সভায় অন্যদের মধ্যে আরও ছিলেন, শিক্ষা, পররাষ্ট্র, অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগসহ ৩১টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদপ্তরের প্রধানেরা।
সভায় সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন ও নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ গণভোটের বিষয়ে বক্তব্য দেন। কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তারা বলেন, গণভোট নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। আমাদের কাজ হচ্ছে সুষ্ঠুভাবে তা সম্পন্ন করা। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে নাকি পৃথক দিনে হবে তা নির্ধারণ করবে সরকার।
তারা আরও বলেন, যখনই গণভোট হোক না কেন, এ নির্বাচনের সঙ্গে যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সংশ্লিষ্ট তাদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখতে হবে।
সচিবদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আপনাদের মাথায় নির্বাচনের বিষয়টি রাখবেন। সরকারি সফরে কোথাও গেলে সম্ভব হলে সেখানকার নির্বাচনি প্রস্তুতি সম্পর্কেও খোঁজখবর নেবেন।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে করলে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বেড়ে যাবে। যেসব প্রতিষ্ঠানে ভোটকেন্দ্র হবে, সেসব প্রতিষ্ঠানের সংস্কার ও আসা-যাওয়ার রাস্তা মেরামত করার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।
তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনে ব্যয়ের টাকার সংস্থান করতে হবে, যেন যথাসময়ে অর্থছাড় করা যায়।
সভার বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, গণভোট কখন হবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত সরকার নেবে। ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন করার জন্য আমরা সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছি। নির্বাচন অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণের জন্য বলা হয়েছে।