| |
               

মূল পাতা জাতীয় ১০৫ কিলোমিটার জুড়ে মশাল প্রজ্বলন;  “জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাও” আন্দোলনে উত্তাল তিস্তা পাড়


১০৫ কিলোমিটার জুড়ে মশাল প্রজ্বলন;  “জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাও” আন্দোলনে উত্তাল তিস্তা পাড়


রহমত নিউজ     17 October, 2025     10:41 AM    


তিস্তা নদী রক্ষায় মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে রংপুর বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় “জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাও” আন্দোলনের অংশ হিসেবে তিস্তা নদীর ১০৫ কিলোমিটারজুড়ে একযোগে মশাল প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালন করেন তিস্তা তীরবর্তী হাজারো মানুষ।

রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলা- লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার ১১টি পয়েন্টে একযোগে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রতীকী কর্মসূচি। এতে অংশ নেন লক্ষাধিক মানুষ, যাদের কণ্ঠে ছিল একটাই দাবি তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন।

কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ‘তিস্তা রক্ষা আন্দোলন’-এর প্রধান সমন্বয়ক, সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।

তিনি বলেন, তিস্তা শুধু রংপুর বিভাগের নদী নয়, এটি বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ। এই নদী নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। মহাপরিকল্পনার কাজ অবিলম্বে শুরু না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে রংপুর বিভাগকে অচল করে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, তিস্তা এখন আর স্থানীয় কোনো ইস্যু নয়, এটি জাতীয় সমস্যা। সরকারের ধীরগতি, অবহেলা এবং ষড়যন্ত্রের কারণে এই নদীর জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে। সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা তৈরি হবে।

দুলু সরকারকে নভেম্বরের মধ্যেই তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করার আলটিমেটাম দেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করা মানেই দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। প্রয়োজনে লংমার্চসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

মশাল প্রজ্জ্বলন কর্মসূচিতে অংশ নেন রংপুর বিভাগের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, ছাত্র ও যুবসমাজের নেতাকর্মীরা। তাঁদের স্লোগান ছিল— “জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাও, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা চাও!”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- তিস্তা রক্ষা আন্দোলন কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম হাক্কানী, লালমনিরহাট জেলা সমন্বয়ক এ কে এম মমিনুল হক, আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ আফজাল হোসেন, বাসার সুমন, সায়েদুল ইসলাম পাটোয়ারী সাজু, এবিএম ফারুক সিদ্দিকী প্রমুখ

জানা গেছে, তিস্তা নদীর ভাঙন ও চর জাগার কারণে গত কয়েক মাসে লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিলীন হয়েছে কৃষিজমি, বসতভিটা এবং পরিবেশের ওপর পড়েছে বিরূপ প্রভাব। তিস্তা রক্ষা আন্দোলনের নেতারা দীর্ঘদিন ধরেই নদীর ড্রেজিং, বাঁধ নির্মাণ, ও পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছেন।

এর আগে রংপুর ও লালমনিরহাটে গণমিছিল, গণসমাবেশ, পদযাত্রা এবং স্মারকলিপি প্রদানসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।