| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল ভারত সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে পার্বত্য অঞ্চলে নৈরাজ্য চলছে : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী


ভারত সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে পার্বত্য অঞ্চলে নৈরাজ্য চলছে : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী


রহমত নিউজ     02 October, 2025     06:38 PM    


বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেছেন, হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় বিজেপি সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে পার্বত্য অঞ্চলে নৈরাজ্য চলছে। ৩ পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানকে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে আলাদা করার জন্য দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে চলছে।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

মাওলানা মিয়াজী বলেন, হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় বিজেপি সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে পার্বত্য অঞ্চলে নৈরাজ্য চলছে। ৩ পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানকে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে আলাদা করার জন্য দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে চলছে।

তিনি আরও বলেন,পাহাড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী সসস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) কে সরাসরি সহযোগিতা করছে ভারত। সন্ত্রাসীরা ভারতের মাটিতে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, খুনসহ নানা অপকর্ম করে নির্দ্বিধায় আবার ভারতের সীমানার ভিতরে আশ্রয় নেয়। এ ব্যাপারে তাদেরকে পূর্ণ সহযোগিতা করছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী বিএসএফ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে ৩ পার্বত্য জেলা থেকে বছরে আড়াইশো থেকে ৩০০ কোটি টাকা চাঁদাবাজি করছে সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ। জাতীয় সংবাদ পত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারতের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসীদের ৬ টি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে ৪ শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী ট্রেনিং নিচ্ছে, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য মারাত্মক হুমকি ও খুবই উদ্বেগজনক।

মাওলানা মিয়াজী আরো বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদেরকে দমন করা সম্ভব হয়নি। ভারতের একান্ত অনুগত শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ায় ভারত সীমাহীন ক্ষুব্দ হয়ে বাংলাদেশ বিরোধী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে মদদ দিচ্ছে এবং বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী ফ্যাসিস্টরাও তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে। সর্বশেষ গত সপ্তাহের শুরুর দিকে এক মারমা কিশোরীকে নিয়ে ধর্ষণ নাটক সাজিয়ে বাঙ্গালীদের হাট বাজার বসতবাড়ি ও মসজিদে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তাদের নির্বিচারে গুলি বর্ষণে ৩ উপজাতি নিহত এবং সেনা কর্মকর্তাসহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছে। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো যাতে নতুন ভাবে কোন নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেনাবাহিনীকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।