| |
               

মূল পাতা মুসলিম বিশ্ব দীর্ঘ ৭ বছর পর জেল থেকে মুক্ত হলেন কাবার সাবেক ইমাম


দীর্ঘ ৭ বছর পর জেল থেকে মুক্ত হলেন কাবার সাবেক ইমাম


রহমত নিউজ     29 September, 2025     06:54 PM    


দীর্ঘ সাত বছর কারা প্রকোষ্ঠে কাটানোর পর অবশেষে মুক্ত হলেন মসজিদুল হারামের সাবেক ইমাম শায়খ সালেহ আল-তালিব। তবে েএখনো পুরোপুরি মুক্ত হননি তিনি। পায়ে ইলেকট্রনিক মনিটর লাগিয়ে গৃহবন্দী রাখা হয়েছে তাকে। 

প্রিজনার্স অব কনসায়েন্স নামের একটি মানবাধিকার সংস্থা সামাজিক মাধ্যমে তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সৌদির ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ও আলেমদের গ্রেপ্তার ও বন্দিত্বের ঘটনা মনিটরিং করা এই মানবাধিকার সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, শায়খ সালেহ আল-তালিব এখনও গৃহবন্দি আছেন এবং তার পায়ে ইলেকট্রনিক মনিটর লাগানো আছে

সৌদি নেতৃত্বের সমালোচনা ও মিশ্র লিঙ্গ কেন্দ্রিক এক বক্তৃতার কারণে ২০১৮ সাল থেকে কারাগারে ছিলেন শায়খ সালেহ আল-তালিব। ওই বক্তৃতায় তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে খোলাখুলিভাবে বক্তব্য ও ইসলামে নৈতিক দায়িত্ব পালনের কথা বলেছেন এবং বিশেষভাবে সৌদি আরবের জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট অথরিটি ও মিশ্র লিঙ্গের অনুষ্ঠানের সমালোচনা করেছিলেন। এরপর থেকে তাকে আর কখনো প্রকাশ্যে বক্তব্য দিতে দেখা যায়নি।

অবশ্য সৌদি সরকার কখনও কাবার ইমাম শায়খ সালেহ আল-তালিবের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ প্রকাশ করেনি। তবে এই বক্তৃতার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২২ সালে রিয়াদের বিশেষ আপিল আদালত তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন।

তিনি ১৯৭৪ সালের ২৩ জানুয়ারি হুৎতাত বানী তায়মি পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন। এই পরিবার বিশিষ্ট ইসলামি শিক্ষাবিদ, বিচারক ও গবেষকদের পরিবার হিসেবে পরিচিত ও বিখ্যাত।

শায়খ সালেহ আল-তালিব কোরআনের সুমধুর তেলাওয়াত এবং বক্তৃতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। অনলাইনে তার লাখ লাখ অনুসারী রয়েছে।

কারাবাসের আগে তিনি মক্কা, রিয়াদ ও অন্যান্য অঞ্চলে বিচারক হিসেবেও কাজ করেছেন।

উল্লেখ্য; ২০১৭ সালের জুনে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতার কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব গ্রহণের পর থেকেই সৌদিতে গ্রেপ্তারের মাত্রা চোখে পড়ার মতো বেড়ে যায়। বিশেষ করে আলেম, রাজপরিবারের সদস্য এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনামূলক মন্তব্যকারীরা এর প্রধান শিকার।

সৌদি সরকারের এই কঠোর অবস্থান আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও কর্মীরা প্রায়ই শুধু মত প্রকাশের কারণেই দীর্ঘ কারাদণ্ডের ঝুঁকির মুখে পড়ছেন।

সূত্র : দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন