ইসরাইলি হামলায় গাজ্জায় শহীদের সংখ্যা ছাড়িয়ে ৪৫ হাজার

ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজ্জা ভূখণ্ডে আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

এছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজ্জা উপত্যকায় ইসরাইলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ৫২ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ হাজার ২৮ জনে পৌঁছেছে বলে সোমবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত এক লাখ ৬ হাজার ৯৬২ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনে ৫২ জন নিহত এবং আরও ২০৩ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। 

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজ্জা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজ্জায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও দখলদার ইসরাইল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

এছাড়া দখলদার ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

উল্লেখ্য, গাজ্জায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলের এই ১৬ মাসের আগ্রাসনে হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন নিরপরাধ ফিলিস্তিনিরা, যাদের বেশিরাভাগই নারী ও শিশু। শুধু তাই নয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনিদের ক্ষুধা-তৃষ্ণাকেও অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বর্বর ইসরাইলি বাহিনী। তাদের অবিরাম বিমান ও স্থল অভিযানে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন গাজার ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা, ধ্বংস হয়ে গেছে অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটির ৬০ শতাংশেরও বেশি অবকাঠামো।