মূল পাতা আন্তর্জাতিক বাংলাদেশের সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি বিজেপি নেতার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 02 December, 2024 06:51 PM
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত হামলা ও ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ অন্য সন্যাসীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দল বিজেপি।
বিক্ষোভে উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি’র নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বলেন,আমাদের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ছয়টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ছটা পর্যন্ত কোনো পণ্যবাহী ট্রাককে বাংলাদেশে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এটা কেবল ট্রেলার দেখলাম। এরপরেও ‘অত্যাচার’ বন্ধ না হলে আমরা টানা পাঁচদিন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ বাণিজ্য বন্ধ করব। এরপর আগামী বছরে লাগাতার বাণিজ্য বন্ধ করে দেবো। এরপর ওরা কিভাবে আলু, পেঁয়াজ খায় সেটা আমরা দেখিয়ে দেব।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বৃহত্তম স্থলবন্দর পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পেট্রাপোলে এই বিক্ষোভ করে দলটি।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যটির বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়, বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া, বিজেপি নেতা অর্জুন সিং এর মতো স্থানীয় নেতারা।
এদিন দুপুরে সীমান্তের জিরো পয়েন্টের আগে একটি জনসভায় উপস্থিত থাকেন শুভেন্দুসহ অন্য নেতারা। সেখানে বক্তব্য রাখার পর প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত হেঁটে সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি যান তারা। এ সময় মিছিলে উপস্থিত সনাতনী ধর্মের লোকজন বাংলাদেশের ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। পরে হলুদ রঙের বেলুন আকাশে ছেড়ে শান্তির বার্তা দেন। যেকোনো অশান্তির আশঙ্কায় এদিন সীমান্তে ছিল কড়া নিরাপত্তা।
এর আগে মঞ্চে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু দাবি রাখেন বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর কথিত নির্যাতন বন্ধ করতে হবে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ অন্য সন্ন্যাসীদের বিনা শর্তে মুক্তি দিতে হবে। এমনকি সংখ্যালঘুদের বাঁচাতে, হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে, মন্দির বাঁচাতে অবিলম্বে বাংলাদেশের বিষয়ে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপও দাবি করেন শুভেন্দু।তিনি আরও বলেন, ইউনূস তুমি হুঁশিয়ার, একদিনে কেবলমাত্র কলকাতায় যে আবর্জনা বের হয়, ওটা একবার ফেলে দিয়ে এলেই আপনি ঢাকায় পড়ে যাবেন। আপনি পাঙ্গা নিতে আসবেন না।
পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা এ-ও বলেন, একাত্তরের রাজাকারদের যেমন আত্মসমর্পণ করিয়েছিল, ড. ইউনূসের রাজাকারদের, যারা ভারতের পতাকা মাড়িয়ে গেছে তাদেরও ঠিক সেভাবেই ভারত আত্মসমর্পণ করাবে। কারণ ভারত একটা দেশ নয়, পৃথিবীর শক্তিশালী রাষ্ট্র।
গত আগস্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর কথিত হামলার বিষয়ে একের পর এক বিবৃতি দিয়ে আসছে ভারত সরকার। এ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে অতিরঞ্জিত করে বিভিন্ন খবরও প্রকাশ করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বরাবরই ভারতের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। সরকার বলছে, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে প্রচুর অপতথ্য বা ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে।