| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল মৌলভীবাজারের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে “বিনা লাভের বাজার”


মৌলভীবাজারের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে “বিনা লাভের বাজার”


জেলা প্রতিনিধি     29 October, 2024     10:04 PM    


সরকারি সংশ্লিষ্ট মহল সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের সামাল দিতে অসহায় এবং নিত্য পণ্যের বাজার যখন আগুনে পুড়ছে তখন সিন্ডিকেট কালোবাজারিদের রুখতে এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাধারণ মানুষের দুর্বিষহ জীবনের সন্ধিক্ষণে বেসামাল দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে যেমন নিম্নবিত্তদের উঠছে নাভিশ্বাস অপরদিকে কর্ম সংকটে বেকার জীবনে হাজার হাজার দিনমজুর। আর ঠিক সেই ক্রান্তিলগ্নে ওই সকল অসহায় মানুষদের কথা বিবেচনা করে বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মৌলভীবাজারের উদ্যোগে চালু হয়েছে “বিনা লাভের বাজার”। 

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে শহরের চৌমুহনা পয়েন্টে শুরু হয় এবং বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই বাজারের কার্যক্রম চলমান থাকবে। এই বাজার অনির্দিষ্টকালের জন্য চলমান থাকবে বলে সমন্বয়করা জানিয়েছে। 

সমন্বয়কেরা বলেন, শহরের বাজারগুলোতে শাক-সবজির চড়া দাম এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মৌলভীবাজার শাখা এমন উদ্যোগ নিয়েছে। এখানে সাধারণ মানুষের অতি প্রয়োজনীয় শাকসবজি সহ বেশ কিছু পণ্য বিক্রি হচ্ছে কোনো লাভ ছাড়াই ফলে সকল শ্রেণীর মানুষেরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমন্বয়কদের বাজারে লাউ ৮০/-, মুকি ৫০/-, মরিচ ১৭০/-, লুভি (বড় সাইজ) ৫৫/-, লুভি (ছোট সাইজ)৮০/-, ধনিয়া পাতা ১৭০/-, কুমডড়া ৬০/-, বেগুন ৭৫/-, করলা ৭০/-, পেঁপে ৩৫/-, আলু ৫২/- 

বিনা লাভের বাজারে কিনতে আসা একজন ক্রেতা জানান, আমরা নিম্নবিত্ত স্বল্প আয়ের মানুষ। তাই আমাদের কথা বিবেচনা করে ছাত্ররা বিনা লাভের দোকান উদ্বোধন করেছে, তাতে আমাদের মতন মানুষদের অনেক সুবিধা হয়েছে। তাছাড়া বাজারের শাকসবজির যে চড়া দাম। এতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ বাজার থেকে মোটামুটি কম দামে শাকসবজি কিনতে পারছি। 

ইকরামুল মুসলিমীন মৌলভীবাজারের সভাপতি এহসানুল হক জাকারিয়া বলেন, সকাল থেকেই আমি এখানে আছি। সাধ্যানুযায়ী আয়োজকদের সহযোগিতা করছি। তাছাড়া ন্যায্যমুল্যেই ক্রেতারা শাকসবজি কিনতে পারছেন। সবাই যদি এগিয়ে আসি, তাহলে বাজার সিন্ডিকেট ভাঙ্গা সম্ভব। 

সকাল ৯টায়  বিনা লাভের বাজারের উদ্বোধন হওয়ার পর থেকেই হুমড়ি খেয়েছেন ক্রেতারা। যার যার প্রয়োজন অনুযায়ী পণ্য কিনছেন।