রহমত নিউজ 21 October, 2024 10:02 AM
বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছে। লঘুচাপটি ক্রমেই শক্তি সঞ্চয় করছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে আগামী কয়েকদিনে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে এর নাম হবে ‘ডানা’। এটি কাতারের দেয়া নাম। ঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে বলে আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেল থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
আবহাওয়া মডেল থেকে জানা গেছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যা ঘূর্ণিঝড় আকারে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত করার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ আগামী ২৩ অক্টোবর রাত ১২টার পর থেকে ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে সরাসরি তীব্র ঘূর্ণিঝড় (ঘণ্টায় ৮৯-১১ কিলোমিটার) হিসাবে স্থলভাগে আঘাত করার প্রবল সম্ভাবনা আছে। স্থলভাগে আঘাতের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার; দমকা হাওয়া সহ যা ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে।
সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি এরপর উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে এসে পৌঁছাবে। পরে ২৪ অক্টোবর সকালে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ আছড়ে পড়তে পারে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে। এর জেরে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকবে। এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে সাগরে ১১০ থেকে ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টি যদি জোয়ারের সময় উপকূলে আঘাত হানে তবে সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলার উপকূলীয় এলাকাগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ থেকে ৮ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে ভাটার সময় আঘাত হানে তবে এসব এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমে বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের দিকে আঘাত হানতে পারে। তবে গতিপথ পরিবর্তন করে বাংলাদেশেও আঘাত হানার শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিত অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মধ্য বঙ্গোপসাগরে ২২ অক্টোবরের মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।