| |
               

মূল পাতা জাতীয় সামরিক বাহিনী পুনর্গঠনের দাবি


সামরিক বাহিনী পুনর্গঠনের দাবি


রহমত নিউজ     05 October, 2024     02:44 PM    


দেশের প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সামরিক বাহিনী পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন বাহিনীটির সাবেক কর্মকর্তারা। শনিবার (৫ অক্টোবর) ঢাকার রাওয়া কনভেনশন হলে এক বিশেষ সেমিনারে রাজনৈতিক বৈষম্যের শিকার হওয়া সাবেক সামরিক অফিসাররা এ দাবি জানান। 

সেমিনারে ‘বাংলাদেশ ২.০’ নামক নতুন একটি ভিশন নিয়ে আলোচনা হয়, যা দেশের সামরিক বাহিনীকে আরও দক্ষ, সমন্বিত এবং রাজনীতিমুক্ত করে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে। সেমিনারের শুরুতে সামরিক বাহিনীর অভ্যন্তরে চলমান বৈষম্য, রাজনৈতিক প্রভাব এবং ক্ষমতাসীনদের স্বার্থে সামরিক বাহিনীর ব্যবহারের কারণে সৃষ্টি সংকটের বিষয়ে গভীর বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়। 

বক্তারা উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সামরিক বাহিনীর রাজনীতিকরণ এবং ক্ষমতাসীনদের হস্তক্ষেপের ফলে এর পেশাদারিত্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হত্যা, গুম-খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ছাড়াও অযৌক্তিক বিচারে বিভিন্নভাবে চাকরিচুত্যির বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে। সামরিক বাহিনীকে দেশের প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুনর্গঠন করা প্রয়োজন, যাতে এটি রাজনৈতিক স্বার্থ থেকে মুক্ত থাকে। 

সেমিনারে আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল সামরিক বাহিনীর ভেতরে বিদ্যমান বৈষম্যের শিকার হওয়া অফিসারদের ঘটনাসমূহ। বক্তাদের মাধ্যমে উঠে আসে কীভাবে মেধাবী কর্মকর্তা ও সদস্যদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক বরখাস্ত এবং তাদের পেশাদার জীবনে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। নারী কর্মকর্তারাও তাদের দক্ষতা এবং পেশাদারিত্বের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন, কিন্তু তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে। 

অলোচকরা ‘বাংলাদেশ ২.০’ বিনির্মাণে সামরিক বাহিনীর রূপরেখা তুলে ধরে বলেন, ‘সামরিক বাহিনীর মধ্যে চলমান বৈষম্য এবং রাজনৈতিক প্রভাবের অবসান ঘটিয়ে একটি মেধাবী ও ন্যায়বিচারপূর্ণ বাহিনী গড়ে তোলা সম্ভব, যা শুধু দেশের নিরাপত্তার সেবা করবে না; বরং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে। বৈষম্যের শিকার হওয়া সামরিক বাহিনীর দক্ষ সদস্যদের অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে নতুন বাংলাদেশের অবকাঠামো, প্রযুক্তি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে হবে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে সরকারকে সামরিক আইন সংস্কারের জন্য এবং বঞ্চিত অফিসারদের ন্যায়বিচার প্রতিস্থার লক্ষ্যে কমিশন তৈরির আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া বরখাস্ত ও নিপীড়িত সামরিক কর্মকর্তাদের চাকরিতে পুনর্বহালসহ একটি আর্থিক পুনর্বাসন প্যাকেজ বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়। 

দাবির মধ্যে রয়েছে—
১. রাজনৈতিক কারণে বরখাস্ত ও বৈষম্যের মাধ্যমে নিপীড়িত কর্মকর্তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করা। 

২. বঞ্চিত অফিসারদের পুনর্বাসন এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। 

৩. সামরিক বাহিনীর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে কমিশন গঠন করে সামরিক আইনের সংস্কার করা।