| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল সংখ্যালঘুদের নিয়ে যারা রাজনীতি করে তারাই হিন্দুদের মন্দিরে আক্রমণ চালায় : চরমোনাই পীর


সংখ্যালঘুদের নিয়ে যারা রাজনীতি করে তারাই হিন্দুদের মন্দিরে আক্রমণ চালায় : চরমোনাই পীর


রহমত নিউজ     23 September, 2024     09:37 PM    


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, মুসলিমদের পাশাপাশি সকল ধর্মের মানুষ বাংলাদেশে নিরাপদ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সংখ্যালঘুদের নিয়ে যারা রাজনীতি করে তারাই হিন্দুদের মন্দিরে আক্রমণ চালায়। ৫ আগস্ট যে বৈষম্য ও জুলুমের বিরুদ্ধে বিজয় এনেছি পরবর্তী সময় এসে আমরা দেখলাম সেই আগের মতোই  দখলদারি, চাঁদাবাজি, ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছে একটি গোষ্ঠী। এসব বন্ধ করতে হবে। সবাই মিলে একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ভাগ্যাহত জনতার ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। স্বাধীনতা অর্থবহ হবে না। রাষ্ট্র সংষ্কার করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সময়ের দাবি। কিন্তু ঘুরেফিরে দুর্নীতিবাজদের ক্ষমতায় আনলে জনগণের দুঃখ-দুর্দশার অন্ত থাকবে না।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কালকিনি উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলা শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন, মুহাম্মদ সা. রাষ্ট্র নায়ক ছিলেন। যার ভিতর ইনসাফ নেই, যে দুর্নীতিবাজ, চোর-ডাকাত, লুটেরা, ধর্ষক, জালিম সেই ব্যক্তি কীভাবে ইনসাফভিত্তিক সমাজ উপহার দেবে? কাজেই জালিম ও চোর-ডাকাতদের হাত থেকে ইসলামীপন্থিদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তিনি বলেন, পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে আলেম অন্তর্ভুক্তি না করা সুখকর নয়। সিলেবাসের অসঙ্গতি এবং পরিবর্তনের দাবিতে ইসলামপন্থি সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলন করে আসছে। বিশেষ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে এর অসঙ্গতিগুলো বিগত সরকারকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে তা সংশোধনের দাবি করে আসছে। কিন্তু আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখলাম উপদেষ্টা সরকারেও  ঘাপটি মেরে থাকা নাস্তিক-মুরতাদরা তৎপর। কথা বার্তা পরিস্কার শিক্ষা নিয়ে কোন চক্রান্ত মেনে নেওয়া হবে না। অবিলম্বে পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে আলেম এবং ইসলামী স্কলারদের অন্তর্ভুক্তি করতে হবে।

তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে ।

মুফতী রেজাউল করীম বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইনসাফপূর্ণ সমাজ গঠন সম্ভব হবে না। ইসলামপন্থিগণ এক হলে ইসলামই হবে দেশের একমাত্র নিয়ামক শক্তি। জালিমদের হাত থেকে আলেমদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা সময়ে অনিবার্য দাবি।

গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আজিজুল হক, মাদারীপুর জেলা সভাপতি হাজী আজিজুল হক মল্লিক, সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা আমিনুল ইসলাম, কালকিনি পৌরসভা সভাপতি মোঃ লুৎফর রহমান মুন্সি, ডাসার থানা সভাপতি মাওলানা ইসমাইল হোসেন, যুব নেতা সেরনায়বাত আব্দুর রহমান আসলাম, মাওলানা বেলায়েত হোসেন, নাঈম ইসলাম, জাতীয় ওলামা মায়ায়েখ আইম্মা পরিষদ কালকিনি উপজেলা সভাপতি, মুফতি সাইফুল ইসলাম।