| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল ইসলামের প্রকৃত যৌন্দর্য জনগণের সামনে তুলে ধরার সময় এসেছে: চরমোনাই পীর


ইসলামের প্রকৃত যৌন্দর্য জনগণের সামনে তুলে ধরার সময় এসেছে: চরমোনাই পীর


রহমত নিউজ     04 September, 2024     07:06 PM    


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ফ্যাসিবাদের পতন হলেও তাদের প্রেতাত্মারা নতুন করে একটি দলের ওপর ভর করছে। আমরা এগুলো দেখতে চাই না। আমরা ন্যায়-ইনসাফ এবং সুখী-সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়তে চাই। ইসলামের প্রকৃত যৌন্দর্য জনগণের সামনে তুলে ধরার সময় এসেছে।

আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিবিৃতিতে স্বৈরাচারি হাসিনার সরকারের ১ মাসপূর্তি উপলক্ষ্যে ছাত্র-জনতাকে শুভেচ্ছা জানান তিনি। 

মুফতী রেজাউল করীম বলেন, ইসলামী আন্দোলনের আমীর গণঅভ্যুত্থানের ১ মাস পূর্ণ হওয়ায় দেশের সর্বস্তরের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, এখন দেশকে নতুনভাবে গড়তে হবে। জনগণ অতীতের প্রতিহিংসার রাজনীতিতে ফিরে যেতে চায় না। বিগত ১৬ বছরে যারা দেশকে লুটেপুটে খেয়েছে, দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতির প্রচলন করে দেশকে ভয়াবহতার দিকে নিয়ে গেছে। বিগত আওয়ামী রাজনীতির পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না জনগণ। মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে চায়। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলদারিত্বের অবসান চায়। বিগত ১ মাস ধরে দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সেনাবাহিনী ও ছাত্র নেতৃবৃন্দের সহযোগীতায় অন্তর্র্বতীকালীন সরকার দেশকে অস্থিতিশীল পরিবেশ থেকে উত্তরণের প্রাণপন চেষ্টা করছেন। আমরা সরকারের সকল ভাল কাজের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি। পরাজিত শক্তির সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে হবে। আইন-শৃঙ্খলার গতি ফিরিয়ে আনতে হবে। দখলদারিত্ব বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছর বাংলাদেশের জনগণের ওপর শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসে কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিলো। মানুষ তখন স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারতো না, মানুষের জান-মাল, ইজ্জত আব্রুর নিরাপত্তা ছিল না। সাংবিধানিক ও মৌলিক মানবাধিকার ছিল ভুলুণ্ঠিত। মোটকথা দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েম করে রেখেছিলো। সুস্থ্য ধারার রাজনৈতিক কর্মকান্ড বিদায় করে দিয়েছিলো। দেশের এই দুর্দিনে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন করতে গিয়ে জালিম সরকারের জুলুম নির্যাতনে শিকার হয়ে ছিলো। সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই স্বৈরশাসকের পতন ঘটে এবং দেশ স্বাধীন হয়।

তিনি আরও বলেন, এখন দেশকে নতুনভাবে গড়তে হবে। জনগণ অতীতের প্রতিহিংসার রাজনীতিতে ফিরে যেতে চায় না। বিগত ১৬ বছরে যারা দেশকে লুটেপুটে খেয়েছে, দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতির প্রচলন করে দেশকে ভয়াবহতার দিকে নিয়ে গেছে। বিগত আওয়ামী রাজনীতির পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না জনগণ। মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে চায়। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলদারিত্বের অবসান চায়। বিগত ১ মাস ধরে দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সেনাবাহিনী ও ছাত্র নেতৃবৃন্দের সহযোগীতায় অন্তর্র্বতীকালীন সরকার দেশকে অস্থিতিশীল পরিবেশ থেকে উত্তরণের প্রাণপন চেষ্টা করছেন। আমরা সরকারের সকল ভাল কাজের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি। পরাজিত শক্তির সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে হবে। আইন-শৃঙ্খলার গতি ফিরিয়ে আনতে হবে। দখলদারিত্ব বন্ধ করতে হবে।

চরমোনাই পীর বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হলেও তাদের প্রেতাত্মারা নতুন করে একটি দলের ওপর ভর করছে। আমরা এগুলো দেখতে চাই না। আমরা ন্যায়-ইনসাফ এবং সুখী-সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়তে চাই। ইসলামের প্রকৃত যৌন্দর্য জনগণের সামনে তুলে ধরার সময় এসেছে।