রহমত নিউজ 03 September, 2024 11:00 PM
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা দুর্নীতি। দুর্নীতি দূর করতে না পারলে এ দেশের পরিবর্তন হবে না। এ দেশে ওসি পরিবর্তন হয়, এসপি পরিবর্তন হয়, কিন্তু ঘুষ ঠিকই থাকে। আমরা ঘুষ ও চোর মুক্ত বাংলাদেশ চাই।
আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নরসিংদীর মাধবদী এস পি স্কুল মাঠে ইসলামী আন্দোলনের নরসিংদীর মাধবদী উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা ডাকাত না, জালেম না, অত্যাচারী না, তাদেরকে অত্যাচার করা যাবে না। আমি ওইসব ভাইদের বলব, যারা আওয়ামী লীগ করেছিলেন, যারা আদর্শবান, মনে রাখবেন, আদর্শবান ব্যক্তির দল কখনো আওয়ামী লীগ হতে পারে না। সময় আছে তওবা করুন। আগের দেশ আর আমরা চাই না।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ দুই বারের বেশি যাতে না হয় সে ব্যাপারে আলোচনা চলছে। কিন্তু আমি মনে করি, শুধু ব্যক্তি পরির্বতন নয়, সুন্দর দেশ গড়তে নীতিরও পরিবর্তন করতে হবে। আমরা একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। যেখানে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই সমান অধিকার ভোগ করতে পারি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সূচনা প্রসঙ্গে মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। কিন্তু এ আন্দোলনের সূচনা কিভাবে হয়েছিল? আমি গত বছর মেয়র ইলেকশন করেছিলাম। ওই সময় আমার ওপর হামলা হয়েছিল। তখন আমি রাস্তায় বসে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, শেখ হাসিনার পতন না করা পর্যন্ত রাস্তা থেকে সরব না। আমি বলেছিলাম, আল্লাহ যেন আওয়ামী লীগের পতন আমার নিজের চোখে দেখিয়ে দেন। ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট আমাদের সে আন্দোলনের চূড়ান্ত প্রতিফল হয়েছে। আমরা সার্থক হয়েছি।
তিনি বলেন, ছাত্রদের আন্দোলন তো শেখ হাসিনাকে পতনের জন্য ছিল না। তাদের আন্দোলন ছিল কোটার জন্য। পরে গড়াতে গড়াতে এটি সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নিয়েছিল।
মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তস্নাত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত বিজয়ে দেশবাসী আশা করেছিল, দখলদারি-চাঁদাবাজি বন্ধ হবে, কিন্তু এটি হয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথাযথ উন্নতি এখনো পর্যন্ত হয়নি। বিভিন্ন স্থানে দখলদারি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের ঘটনা বন্ধে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে অন্তর্র্বতী সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সংগঠনের মাধবদী উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ ক্বারী আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী মুফতী আলমগীর হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন, দলের যুগ্ম মহাসচিব, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতী রেজাউল করীম আবরার, কলরবের পরিচালক মাওলানা বদরুজ্জামান, ইসলামী আন্দোলন নরসিংদী জেলা সভাপতি আশরাফ হোসেন ভুইয়া, সেক্রেটারী মুসা বিন কাসিম। এছাড়াও ইসলামী যুব আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।