| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে: খেলাফত আন্দোলন


ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে: খেলাফত আন্দোলন


রহমত নিউজ     27 August, 2024     06:26 PM    


বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন,ভারত আন্তর্জাতিক সকল আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশে পানি আগ্রাসন চালাচ্ছে। যখন পানির প্রয়োজন হয় তখন আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করে শুকিয়ে মারে। আর বর্ষা মৌসুমে ভারত সকল বাঁধ ছেড়ে দিয়ে এদেশের মানুষকে বন্যার পানিতে ডুবিয়ে মারছে। দেশ ও জাতিকে রক্ষায় ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।

আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার দক্ষিন শ্যামপুর, উত্তর শ্যামপুর, পীর যাত্রাপুর, জগতপুর ও সাদকপুর বন্যায় প্লাবিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে সহায়তা প্রদানকালে তিনি এ সবকথা বলেন।

মাওলানা হামিদী আরো বলেন, ইসলাম সহমর্মিতা ও মানবতার কল্যাণের ধর্ম। ইসলামের আদর্শই হচ্ছে একে অপরের সহযোগিতা করা, একজন আরেকজনের পাশে দাড়ানো। ইসলামের এই সু-মহান শিক্ষার চেতনার আলোকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে সাধ্যমতো সাহায্যের হাত প্রসারিত করে ইসলামী নেতৃবৃন্দ, আলেম, ছাত্র ও যুব সমাজ যে অবিস্মরণীয় অবদান রেখে চলছে তা চিরস্বরণীয় হয়ে থাকবে।তিনি আরো বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো দয়া বা অনুগ্রহ নয়। বরং আমাদের ঈমানী ও মানবিক দায়িত্ব। খেলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে ক্ষতিগ্রস্তরা সাহায্যেরজন্য হাহাকার  করতে হবে না। নিজ ঘরে থেকে রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ-সুবিধা পাবে।

এ সময় অন্যান্যের মাঝে  উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুর রহমান, আন্তর্জাতিক বিশেষ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুফাসসির হোসাইন, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুফতি জাকির বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাকির হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহিনুর আলম শাহিন, ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর সহ সভাপতি হাফেজ আতাউল্লাহ প্রমূখ। আরো উপস্থিত ছিলেন পীর যাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু তাহের ও ইউপি মেম্বার শফিউল করিম প্রমুখ।

ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাউল, চিড়া, ডাউল, আলু, সয়াবিন তৈল, বিস্কিট, মিনারেল ওয়াটার, শিশুখাদ্য,  ওরস্যালাইন, প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দেওয়া হয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদেরকে সব ধরনের পাপাচার পরিহার করত বেশি বেশি তওবা ও ইস্তেগফার করতে হবে। আল্লাহর জমীনে আল্লাহর বিধান তথা খেলাফত কায়েমে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। একমাত্র আল্লাহ তাআলাই সকল প্রকার বিপদ থেকে মানব জাতিকে মুক্তি দিতে পারেন। তারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।