| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বিএনপি আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ভাইরাল সেই যুবদল নেতা বহিষ্কার


আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ভাইরাল সেই যুবদল নেতা বহিষ্কার


রহমত নিউজ     15 August, 2024     04:57 PM    


ঢাকার ভাটারা থানার সামনে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে ছবি তুলে ভাইরাল হওয়া পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার যুবদল নেতা তাহসিন জামানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার (১৪ আগস্ট) রাতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক এমএন ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ নুরুল ইসলাম নয়নের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ও দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে পিরোজপুর জেলা শাখার মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব তাহসিন জামান রোমেলকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতার অপকর্মের কোনো দায়দায়িত্ব দল নেবে না এবং যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য; গত ৭ আগস্ট রোমেল নিজেই আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে ছবি তুলে তার ফেসবুকে পোস্ট করেন এবং কিছুক্ষণ পরে আবার ছবিটি সরিয়ে নেন। কিন্তু এর মধ্যেই ছবিটি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

জানা গেছে, বহিষ্কৃত নেতা তাহসিন জামান রোমেল জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার মঠবাড়িয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার আবু জাফরের ছেলে ও মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব। তার চাচা সিদ্দিকুর রহমান বাদশা মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। আরেক চাচা শাহাবুদ্দিন মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন।

ভাইরাল হওয়া ওই ছবিতে দেখা গেছে, গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরে বিক্ষুব্ধ জনতা রাজধানীর ভাটারা থানায় আগুন দেয়। সেই জ্বলন্ত থানার সামনে প্রকাশ্যে একটি ভারী আগ্নেয়ান্ত্র নিয়ে ছবি তোলেন যুবদল নেতা তাহসিন জামান রোমেল। ছবিটি নিয়ে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মী ও জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

তবে এ বিষয়ে বহিষ্কৃত নেতা তাহসিন জামান রোমেল বলেন, আমাকে অন্যায়ভাবে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমি ওই অস্ত্রটি রাস্তায় পাওয়ার পর তা সেখানে থাকা সেনাবাহিনীর কাছে জমা দিয়েছি।