| |
               

মূল পাতা জাতীয় আইন-আদালত ফের ৩ দিনের রিমান্ডে আন্দালিব রহমান পার্থ


ফের ৩ দিনের রিমান্ডে আন্দালিব রহমান পার্থ


রহমত নিউজ     30 July, 2024     08:42 AM    


কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় সেতু ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ঢাকার বনানী থানার মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থর আবারও ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) এ মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হয় ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ফের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবু সাইদ মিয়া আবেদন করেন। পরে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন।

এরপর রাষ্ট্রপক্ষে ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থর রিমান্ড ও জামিনের বিরোধিতা করা হয়। আর উভয় পক্ষের শুানানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালত তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বনানী থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহ আলম।

এর আগে গত ২৫ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন  ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থর পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আগের দিন ২৪ জুলাই দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আন্দালিব রহমান পার্থকে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ পরদিন দুপুরে গণমাধ্যমকে জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনে উস্কানি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ব্যারিস্টার পার্থের বিরুদ্ধে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই প্রতিদিনের মতো স্বাভাবিকভাবেই অফিসের কার্যক্রম করছিলেন সেতু ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জন আন্দোলনের নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতার লক্ষ্যে বেআইনিভাবে আবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে সেতু ভবনের সামনে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

তারা সেতু ভবনের ঊর্ধ্বতন সচিবসহ কর্মকর্তাদের পদ-পদবি উল্লেখ করে খোঁজ করতে থাকেন এবং হুমকি প্রদর্শন ও ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে ভীতি সৃষ্টি করে ভবনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। একপর্যায়ে অফিসের মূল ফটক ভেঙে  সেতু ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে নিচ তলার ভবনের সামনে রক্ষিত জিপ, কার, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ, মোটরসাইকেল, নিরাপত্তা ভবন, সিসি ক্যামেরা, ক্যান্টিন, আনসার শেড, মুজিব কর্নারসহ মূল ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এ ঘটনায় সেতু ভবনের কেয়ারটেকার রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলা করেন।