রহমত নিউজ 28 July, 2024 05:50 AM
কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলাকালে মসজিদ থেকে নামায পড়ে বের হওয়ার সময় গুলিতে গুরুতর আহত হন ইমতিয়াজ হোসেন জাবির (২২)। গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) ঢাকার বনশ্রী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সাউথ-ইস্ট ইউনিভার্সিটির বিবিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন ইমতিয়াজ হোসেন জাবির।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে ওইদিনই রাত ১১টার দিকে গ্রামের বাড়িতে মরদেহ নেওয়া হয়। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয় তকে।
শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে নিহত জাবিরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের মধ্যে একটি কক্ষে ছেলে হারানোর শোকে কাতর হয়ে পড়ে আছেন মা শিরিনা বেগম। কাঁদতে কাঁদতে মাঝেমধ্যে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন তিনি। অন্যদিকে জাবিরের বাবা নওশের আলী অসুস্থ হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
জাবিরের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি তার স্বজনরা। গোটা এলাকায় শোক আর আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান বলেন, জাবির অত্যন্ত ভালো ছেলে ছিল। কখনো বাজে সঙ্গ ওর ছিল না। গত শুক্রবার জানতে পারি যে নামায পড়ে বের হওয়ার সময় তার পায়ে গুলি লাগে। ওই সময় বাহিরে গোলাগুলি চলছিল। জাবিরের মৃত্যুতে আমরা গোটা এলাকাবাসী শোকাহত।
জানা গেছে, তার বাবা নওশের আলী পেশায় একজন মুরগির ফার্ম ব্যবসায়ী। নওশের আলীর দুই ছেলে মেয়ে। জাবির বড় এবং একটা মেয়ে রয়েছে। জাবিরের বোন অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
-আরটিভি অনলাইন