| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বিএনপি কোটা আন্দোলন সফল হলে গণতন্ত্রের জন্য লড়তে হবে : মেজর হাফিজ


কোটা আন্দোলন সফল হলে গণতন্ত্রের জন্য লড়তে হবে : মেজর হাফিজ


রহমত নিউজ     13 July, 2024     08:35 AM    


কোটা আন্দোলন সফল করার পর শিক্ষার্থীরা যেন গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে রাজপথে লড়াই করে সেজন্য আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।

শনিবার (১৩ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে মেজর হাফিজ বলেন, আজকে হাজার হাজার তরুণ ছাত্রছাত্রী রাস্তায় নেমেছে। ৫৬ শতাংশ কোটা বিশ্বের কোনো দেশে নেই। কোটাব্যবস্থা অসভ্যতার পরিচায়ক। এই কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনকে আমরা অকুণ্ঠ সমর্থন জানাই। ছাত্রসমাজকে বলব, মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কোটা আন্দোলন সফল হলে তোমাদের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে রাজপথে লড়াই করতে হবে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে সাম্য, সামাজিক সুবিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলাম। মূলত গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু সেই গণতন্ত্র দেশে নেই। আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি চাই না। মেধার ভিত্তিতে চাকরি চাই। আজকে যাদের মুক্তিযোদ্ধা রাখা হয়েছে তারা কারা? যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধা ছিল ৮০ হাজার। তারা তো কোনো কোটা চায়নি। এখন কোটা রাখা হয়েছে ভুয়া আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। আমরা খুব বড় জোর ৫ ভাগ কোটা রাখার পক্ষে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আসলে এই সরকার কোনো সম্মানিত ব্যক্তিকে সম্মান দেয় না। তার সর্বশেষ উদাহরণ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাকে কীভাবে হয়রানি করা হচ্ছে; ৬ তলা সিঁড়ি বেয়ে আদালতে উঠতে হয়। এমনকি তাকে পদ্মা নদীতে চুবানোর কথা বলা হয়েছে। এটা কী তার প্রাপ্য ছিল? অন্যদিকে উন্নত বিশ্ব ড. ইউনসূকে তাদের দেশে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে থাকেন; তাকে সম্মান দেন। সম্মানি ব্যক্তিদের আর কতো অসম্মান করবে এই সরকার? আজকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেয় সরকার। এই সংগঠনটি ছাত্রসমাজের কলঙ্ক। তারা সরকারের লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন। অনেক শিক্ষকই তো দলীয় কোটায় চাকরি পেয়েছে। তারা টকশোতে আওয়ামী লীগের সাফাই গাইছে। অনেকের প্রথম শ্রেণি নেই। টেনে-টুনে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পাস করেছেন এমন লোককে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বানিয়েছে। অথচ আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় শিক্ষকদের পিতৃতুল্য ভেবে সম্মান করতাম। এখন যেসব শিক্ষক আন্দোলন করছেন তাদের কয়জন মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন? অথচ তারা চাইলে ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্বুদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধে পাঠাতে পারতো।

সংগঠনের সহসভাপতি নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমদ খান এবং মুক্তিযোদ্ধা শাহাব উদ্দিন রেজার পরিচালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব.) জয়নাল আবেদিন প্রমুখ।