রহমত নিউজ 10 July, 2024 08:52 PM
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়ল নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, কোটাপদ্ধতি সংস্কার জরুরি হয়ে পড়ছে। ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের পরিবর্তে পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। ৫৬ ভাগ কোটা আমরা চাই না। মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা সম্মান করি মনে প্রাণে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের দোহাই দিয়ে তাদের নাতি-পুতিরা ৫৬ ভাগ নিয়ে গেলে আর কী থাকে? তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য বৈষম্যমূলক পেনশন-ব্যবস্থার পরিবর্তে সর্বজনীন পেনশন চালু এবং শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতেও সরকারের কাছে দাবী জানান।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে পুরানা পল্টনস্থ কার্যালয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, ড. আ.ফ.ম খালিদ হোসাইন, আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুফতী মোহাম্মদ আলী, আল্লামা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মুফতী রেজাউল করীম আবরার।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, সম্প্রতি পিএসসির ব্যবস্থাপনায় রেলওয়ের উপ-পরিচালক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা উদ্বেগজনক। সবকিছুর একটা সীমা থাকা প্রয়োজন। বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করলে আর কী বাকি থাকে? সরকার দেশকে দুর্নীতির অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। যার আখের অত্যন্ত ভয়াবহ হবে এবং এর খেসারত গুণতে হবে সমগ্র দেশবাসীকে। দেশ কোথায় গিয়ে ঠেকছে, সরকারের কর্তাব্যক্তিরা কী ভেবে দেখেছেন? তিনি বলেন, সরকারি চাকুরীর সবচেয়ে বৃহৎ প্রতিষ্ঠান বিসিএস পরীক্ষার কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি, প্রশ্নফাঁস, ৫৬% কোটা পদ্ধতির চেয়েও মারাত্মক দুশ্চিন্তার কারণ। তিনি বলেন, দেশে যখন মানুষের ভোটাধিকার থাকে না, তখন যে দেশের কী অবস্থা হয়, তা বর্তমান সরকারের দিকে তাকালেই বুঝা যায়।
তিনি বলেন, সরকার ভারতের সাথে ১৩ দফা চুক্তি করে দেশকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। দেশের বুক চিড়ে রেল চলবে, নিয়ন্ত্রণ থাকবে ভারতের হাতে এটা সমঝোতা হয় কীভাবে? এটা তো পুরো করিডোর। এই রেলে কী আসবে,অস্ত্র, মাদক, ভারতীয় সৈন্য? কী আসবে কেউ জানে না। এটা হতে পারে না। তিনি ভারতের সাথে দেশ ও স্বার্থবিরোধী সকল চুক্তি বাতিলের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।