মফস্বল ডেস্ক 25 June, 2024 01:29 PM
ভারতীয় বিএসএফের তাড়া খেয়ে নৌকা থেকে নদীতে পড়ে ৩ দিন ধরে নিখোঁজ কিশোর মো. জাহেদুল ইসলামের (১৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে এলাকাবাসী নদীর পাশে ভাসমান অবস্থায় দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানান, রোববার (২৩ জুন) রাত ১০টার দিকে উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে রেখার জিরো পয়েন্টের আমলীঘাট এলাকার মেরকুম নামক স্থানে ভারতীয় বিএসএফের তাড়া খেয়ে নৌকা থেকে পড়ে নিখোঁজ হয় জাহেদ। জাহেদ ওই এলাকার পূর্ব অলিনগর গ্রামের মো. ফারুক ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়রা আরও জানান, সোমবার সকাল ১০টা থেকে তাকে উদ্ধারে বারইয়ারহাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যানরা অভিযান চালায়। পরবর্তীতে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস থেকে আসা ৩ সদস্যের ডুবুরি দল। না পেয়ে সন্ধ্যায় ওই দিনের মতো উদ্ধার অভিযান স্থগিত করে মঙ্গলবার পুনরায় অভিযান শুরু করার কথা ছিল।
এ বিষয়ে জাহিদের বাবা ফারুক ইসলাম বলেন, ‘আমলীগাট সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে প্রায় সময় চোরাই পথে চিনি আসে। রোববার রাতে আমার ছেলেসহ আরও কয়েকজন চিনি আনতে গিয়েছিলো। তখন বিএসএফের তাড়া খেয়ে সবাই চলে আসলেও আমার জাহিদ আসেনি। সে কানে কম শুনে এবং সাঁতার জানে না। আজ স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি আমার ছেলের মরদেহ নদীতে ভাসছে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আজাদ উদ্দিন বলেন, ‘মো. জাহেদ লেবু বাগানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। রোববার রাতে ফেনী নদীতে জাহেদ নিখোঁজ হয় বলে শুনেছি। স্থানীয়দের দাবি, জাহেদ ভারত সীমান্ত থেকে চিনিসহ বিভিন্ন দ্রব্য চোরাচালানের কাজেও জড়িত ছিলো। বিএসএফের তাড়া খেয়ে নদীতে পড়ে তার মৃত্যু হতে পারে। এলাকাবাসী এমনটিই বলছেন।’
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘ফেনী নদীতে নিখোঁজ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করার প্রস্তুতি চলছে।’