রহমত নিউজ 19 June, 2024 02:40 PM
সরকারের গণবিরোধী নীতির কারণে জ্বালানি তেল, পানি, বিদ্যুৎসহ সব জিনিসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা উন্নয়নের কথা বলেন, কিন্তু সে উন্নয়ন হলো কাগজ থুতু দিয়ে জোড়া লাগানো হলে যেমন জোড়া লাগে, ঠিক শেখ হাসিনার উন্নয়নও সেরকম। যার কারণে ধপাস করে পড়ে গেছে।
বুধবার (১৯ জুন) বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, গ্রামে বিদ্যুৎ কখন যায়, কখন আসে তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। যারা গ্রামের ঈদ করতে গিয়েছিলেন, তারা এসে অনেকে বলেছেন যতটুকু আইপিএসের বিদ্যুতের ব্যাকআপ দরকার সেটুকুও পায় না। ১৫/২০ মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ আসে আবার চলে যায়। আপনারা দেখেছেন এই ঈদে ঢাকায় গ্যাসের অভাবে মানুষ রান্না করতে পারেনি। বাড়িতে বাড়িতে মাংস নষ্ট হয়ে গেছে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের অভাবে। ফ্রিজ চলে না বিদ্যুতের জন্য, গ্যাসের জন্য আগুন জ্বলে না।
রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে নয়াপল্টন থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে নাইট এঙ্গেল মোড় হয়ে আবার নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়। আমার মা জেলে কেন শেখ হাসিনা জবাব চাই, রুশ ভারতের দালালরা হুঁশিয়ার সাবধান, গ্যাসের দাম বাড়লো কেন শেখ হাসিনা জবাব চাই, তেলের দাম বাড়লো কেন শেখ হাসিনা জবাব চাই, পানির দাম বাড়লো কেন শেখ হাসিনা জবাব চাই বলে নেতাকর্মীরা শ্লোগান দেয়।
এ সময় বিএনপির মুখপাত্র আরও বলেন, ওয়াসার পানি নোংরা ও কিটপতঙ্গে ভরা ময়লা পানি। এক বছর আগে জনগণ ওয়াসার এমডিকে ঘেরাও করেছিলেন। তাকে ওয়াসার পানি খেতে দেওয়া হয়েছিল, সে পানি ওয়াসার এমডি খায়নি। যে ব্যক্তি পানির দায়িত্বে তিনি যদি এই পানি না খান তাহলে সাধারণ মানুষ খাবে কেন?
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, বেনজীরের পরিবার দেশের ভেতরে এত টাকা আর দেশের বাইরে কতো টাকা পাচার করেছে সেটা আমরা জানি না। একজন সরকারি কর্মকর্তার বেতন কতো? তার বেতন হয়তো ৮০/৯০ হাজার টাকা ছিল। তাহলে তার সন্তানদের নামে এত ফ্লাট, বাড়ি, জায়গাজমি কোথা থেকে হলো, সরকারই তাকে সুযোগ করে দিয়েছে।
রিজভী আহমেদ আরও বলেন, এত পচা পানি সরবরাহের পরও ৭% পানির দাম বাড়ানো হয়েছে।
দলের নেতাকর্মীর উদ্দেশে রিজভী বলেন, আজকে যে আওয়াজ তুলেছেন তা ন্যায় সঙ্গত। এটি জনগণের দাবি। আমরা জনগণের পক্ষে, আমরা ন্যায়ের পক্ষে, আমরা অবাধ মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে। আপনাদের প্রতি আহ্বান, আমাদের রাজপথে আরও জোরালোভাবে নামতে হবে। আমাদের হয়তো গুলি করবে, গুম করবে ও ক্রসফায়ার দেবে, কিন্তু তবুও আমাদের মিছিল থামালে চলবে না, যতক্ষণ না শেখ হাসিনার রাজ সিংহাসনকে রাস্তায় উল্টে যায়।
মিছিলে এ সময় আরও অংশ নেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকূল ইসলাম, সহ অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, যুবদলের সাবেক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মামুন, ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, যুবদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, বিএনপি নেতা ডা. তাজুল ইসলাম লোহানী, বিএনপি নেতা ইমতিয়াজ বকুল, জাকির হোসেন, সঞ্জয় দে রিপন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সভাপতি তৌহিদুর রহমান আউয়াল, মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক পাটোয়ারি, কবির উদ্দিন মাস্টার, উত্তরের আহ্বায়ক আমির হোসেন, যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপি নেতা শিপন খান, ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ জামাল চৌধুরী আদিত্য, সাব্বির আহমেদ, জাভেদ চৌধুরী, যুবদল নেতা খলিল মৃধা, কাজী মঞ্জুর রহমান, ছাত্রদল নেতা জাকারিয়া হোসেন ইমন, আশরাফুল আসাদ-সহ কয়েকশ নেতাকর্মী।