| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক এবার নেপালেও নিষিদ্ধ ভারতের মসলা


এবার নেপালেও নিষিদ্ধ ভারতের মসলা


রহমত নিউজ     17 May, 2024     05:42 PM    


ভারতের দুই ব্র্যান্ডের মসলার আমদানি, ব্যবহার এবং বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে নেপাল। ভারতীয় এভারেস্ট ও এমডিএইচ মসলার ব্র্যান্ডদুটিতে উচ্চমাত্রার ক্ষতিকর উপাদান ইথিলিন অক্সাইডের উপস্থিতির খবরে নেপালের খাদ্য প্রযুক্তি ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগ এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, নেপালের খাদ্য প্রযুক্তি ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগ ইথিলিন অক্সাইডের মাত্রা পরীক্ষা করছে বলে বার্তা সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন দেশটির এক কর্মকর্তা। বিভাগের মুখপাত্র মোহন কৃষ্ণ মহারজান এএনআইকে বলেন, ‘নেপালে এভারেস্ট এবং এমডিএইচ ব্র্যান্ডের মসলা আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মসলায় ক্ষতিকারক রাসায়নিকের সন্ধান পাওয়ার খবর আসার পর এই পদক্ষেপ নেয়া হয়। আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা এক সপ্তাহ আগেই জারি করা হয়েছিল। এখন আমরা এর বিক্রিও নিষিদ্ধ করেছি।’

তিনি জানান, ‘এই দুটি বিশেষ ব্র্যান্ডের মসলায় রাসায়নিকের উপস্থিতি যাচাইয়ের পরীক্ষা চলছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। হংকং এবং সিঙ্গাপুর ইতোমধ্যেই  ব্র্যান্ডদুটি নিষিদ্ধ করেছে। তাদের পদক্ষেপের পর নেপাল মসলার ব্র্যান্ড দুটো নিষিদ্ধ করলো।’

ভারত সরকার সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এএনআইকে জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশে শূন্য দশমিক ৭৩ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত ইথিলিন অক্সাইডের ব্যবহার অনুমোদিত। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের জন্য ইথিলিন অক্সাইডের ব্যবহারের একটি মান নির্ধারণ জরুরি।

এদিকে, ভারতীয় মসলা বোর্ড এই অঞ্চলে ভারতীয় মসলা রপ্তানির নিরাপত্তা এবং গুণমান নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে। বোর্ড টেকনো-সায়েন্টিফিক কমিটি ইতোমধ্যে মসলায় ইথিলিন অক্সাইডের পরিমাণ বিশ্লেষণ, প্রক্রিয়াকরণ এলাকা পরিদর্শন এবং স্বীকৃত ল্যাবে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছে। এই কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতের মসলা বোর্ড।

গত এপ্রিলে ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক উপাদান ইথিলিন অক্সাইডের অস্তিত্ব পেয়ে হংকং ফুড সেফটি ওয়াচডগ ভারতীয় ব্র্যান্ড এমডিএইচ এবং এভারেস্টের চারটি মসলাজাতীয় পণ্য নিষিদ্ধ করে। এ ছাড়া ব্র্যান্ডদুটির পণ্যে ক্ষতিকর উপাদানের উপস্থিতি ধরা পড়ার পর প্রতিষ্ঠানটির পণ্য নজরদারির আওতায় এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণুর উপস্থিতি থাকার অভিযোগে ২০২১ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানটির রপ্তানি করা ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ মসলা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ঢুকতে দেয়া হয়নি।