রহমত নিউজ 08 April, 2024 07:05 PM
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান ১৯৭ তম ঈদুল ফিতরের জামাতের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় চার স্তরে কাজ করবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এবারও পূর্বের চেয়ে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে শোলাকিয়ায়। মোতায়েন থাকবে ৫ প্লাটুন বিজিবি।
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে সকাল ১০টায় শুরু হবে ১৯৭তম ঈদুল ফিতরের জামাত। জামাতে ইমামতি করবেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান ড. মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
আগত লাখ লাখ মুসল্লির নিরাপত্তার স্বার্থে এখানে টুপি ও জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রশাসন। বরাবরের মতো এবারও দেশের বৃহত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ মাঠে। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে ঈদগাহ মাঠের দাগ কাটা, চুনকাম, আজুখানা মেরামতসহ বেশিরভাগ কাজ। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, এবারের ঈদুল ফিতরের জামাতের সময় নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার মোতায়েন থাকবে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এখানে দায়িত্বে থাকবেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে আগত মুসল্লিদের সুবিধার্থে ঈদের দিন কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ রোডে শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। দফায় দফায় মিটিং ও ঈদগাহ পরিদর্শন করে সার্বিক প্রস্তুতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন প্রশাসনের লোকজন। ২০১৬ সালের ঘটনা মাথায় রেখে বাড়তি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ময়দানকে লক্ষ্য করে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, মাঠের প্রতিটি প্রবেশপথে আর্চওয়ের মধ্যদিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে হবে। এ ছাড়াও ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার, মাইনো কোলার, ড্রোন ক্যামেরা, ছয়টি ভিডিও ক্যামেরা ও সিসি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এবারের ঈদের জামাতে টুপি ও জায়নামাজ ছাড়া আর কিছু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না মুসল্লিরা। মুসল্লিদের সুবিধার্থে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন।
এ দিকে বরাবরের মতো শোলাকিয়া ঈদগাহে আগত মুসল্লিদের সেবাদানে প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্য। মাঠের ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানান স্থানীয়রা।
বর্তমানে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তরে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের চেয়েও বড় বড় ঈদগাহ ময়দান প্রতিষ্ঠিত হলেও মুসল্লির উপস্থিতির দিক থেকে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত ঈদুল ফিতরের জামাতই এ উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদুল ফিতরের জামাত হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছে।