রহমত নিউজ 19 March, 2024 10:49 PM
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির আল্লামা সরওয়ার কামাল আজিজী বলেছেন, দেশ আজ ভারতীয় আধিপত্যবাদের জাঁতাকলে পিষ্ট। ফ্যাসিস্ট শাসনে অতিষ্ঠ দেশের মানুষ। দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার চরমভাবে ব্যর্থ। ভোট ছাড়া ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে আছে। তাই জনগণের কাছে জবাবদিহিতার কোনো বালাই নেই। কিন্তু এভাবে তো দেশ চলতে পারে না। আজকে আমি আছি। আপনি আছেন। কিন্তু দেশ আমাদের হাতে নেই। আমাদের স্বাধীনতা নেই। সেজন্য আজকে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ভারতীয় আধিপত্যবাদকে পরাজিত করা গেলে আওয়ামী দুঃশাসনের নাগপাশ থেকে জাতিকে আমরা মুক্ত করতে পারব ইনশাআল্লাহ।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনস্থ এক রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি আয়োজিত ইফতার পূর্ব আলোচনাসভা পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা আ না ম শামসুল ইসলাম, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমদ, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী
মাওলানা আ না ম শামসুল ইসলাম বলেন, আজকে দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতারি করতে বাধা দেয়া হচ্ছে। পূজা হবে, গান হবে, কিন্তু কোরআন তেলাওয়াত হতে পারবে না। এ কোন সময়ে এসে দাঁড়ালাম আমরা! হিন্দুত্ববাদের দালালরা মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকার হরণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমাদের বিভেদ ও অনৈক্যের কারণেই আজ আমরা নিপীড়িত হচ্ছি। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়েছে। এখনই সময় থাকতে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলে সামনে আমাদের কঠিন মাশুল দিতে হবে।
মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, আমাদের এই দেশকে অন্য কোনো শক্তি এসে রক্ষা করবে না। আমাদের স্বাধীনতা ও অধিকার আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। সুতরাং আর দেরি নয়। জেল-জুলুম নবী-রাসূলগণও সয়েছেন। এতে আমাদের বিচলিত হলে চলবে না। দেহে যতক্ষণ প্রাণ থাকবে, রক্ত সচল থাকবে, ততক্ষণ আমাদের এক হয়ে সংগ্রাম করে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এন ডি এম চেয়ারম্যান ববি হাজাজ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজু রহমান ইরান, জায়ামাতে ইসলামীর এ টি এম মাসুম, মাওলানা আব্দুল হালিম, মসজিদ মিশনের সেক্রেটারি জেনারেল ড. খলিলুর রহমান আল মাদানী, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের মহাসচিব মোস্তফা তারিকুল হাসান, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, গণ অধিকার পরিষদের মহাসচিব রাশেদ খান, জাগপার সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক আহমদ আব্দুল কাইয়ুম।
আরো উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সংগঠন সচিব মুফতি বশির উল্লাহ, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মুফতি মুনির হোসাইন কাসেমী, খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি ফখরুল ইসলাম, জাতীয় মুফাসসির পরিষদের মহাসচিব শায়খ জামান উদ্দিন, প্রফেসর শায়খ ওসমান গনি, নেজামে ইসলাম পার্টির নায়েবে আমির মুফতি মোহাম্মদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান মাহমুদী, উপাধ্যক্ষ মাওলানা শেখ লোকমান হোসেন, মাওলানা ইয়াসিন হাবিব, ডাক্তার মাওলানা ইলিয়াস খান, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব ড আব্দুল জলিল, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা কুরবান আলী কাসেমী, সংগঠন সচিব এনামুল হক মুসা, জমিয়তে উলামা ইসলাম বাংলাদেশের প্রচার সচিব মাওলানা জয়নাল আবেদীন, অর্থ সম্পাদক মুফতি জাকির হোসেন কাসেমী, নেজামে ইসলামের সংগঠন সচিব অধ্যক্ষ মাওলানা আবু তাহের খান, প্রচার সচিব মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ খান, ছাত্রবিষয়ক সচিব হাফেজ মাওলানা আবুল মঞ্জুর, সহকারি অর্থ সচিব আনোয়ারুল কবির, মাওলানা আতাউল্লাহ হুসাইনী, ইসলামী ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি এহতেশামুল হক সাখী, মহাসচিব বি এম আমীর জিহাদী প্রমুখ।