| |
               

মূল পাতা শিক্ষাঙ্গন ঢাবিতে কুরআন তেলাওয়াত অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের শাস্তি দিতে ডিনের চিঠি


ঢাবির কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবদুল বাছির (সংগৃহীত ছবি)

ঢাবিতে কুরআন তেলাওয়াত অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের শাস্তি দিতে ডিনের চিঠি


রহমত নিউজ     17 March, 2024     10:46 AM    


পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বটতলায় কুরআন তেলাওয়াত বিষয়ক অনুষ্ঠান যেসব শিক্ষার্থী আয়োজন করেছে, তাদের কেন শাস্তি প্রদান করা হবে না সে বিষয়ে জবাব চেয়ে আরবি বিভাগের চেয়ারম্যানকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

বুধবার (১৩ মার্চ) আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জুবায়ের মোহাম্মদ এহসানুল হক বরাবর এই চিঠিটি প্রেরণ করেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবদুল বাছির।

 গত ১০ মার্চ বটতলায় মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে কুরআন তেলাওয়াতের মাহফিল আয়োজন করে আরবি সাহিত্য পরিষদ।

ডিন এবং প্রক্টরের থেকে অনুমতি না নিয়ে এই আয়োজন করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের ব্যাঘাত ঘটেছে বলে দাবি করে আরবি বিভাগের চেয়ারম্যানকে চিঠি পাঠিয়েছেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবদুল বাছির। চিঠিতে শিক্ষার্থীরা অনুমতি না নিয়ে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করায় তাদেরকে কেন শাস্তি দেওয়া হবে না, এই মর্মে আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জুবায়ের মোহাম্মদ এহসানুল হকের জবাব চাওয়া হয়।

অনুমতি না নিয়ে অনেক প্রোগ্রাম হয় সেক্ষেত্রে সমস্যা না থাকলেও এবার কেন সমস্যা জানতে চাইলে অধ্যাপক আবদুল বাছির বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হলে আমরা ছাড় দেই কিন্তু এ ক্ষেত্রে তারা আমাদের শিক্ষার্থী কিনা এ ব্যাপারে আমাদের এখনও সন্দেহ আছে। 

তাহলে আরবি বিভাগের শিক্ষককে চিঠি কেন দেওয়া হয়েছে, এ ব্যাপারে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি। তবে তারা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হন সেক্ষেত্রে প্রোগ্রাম করতে পারবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি না তবে তাদেরকে অনুমতি নিতে হবে।

এদিকে 'শিক্ষার্থীরা আরবি বিভাগের না' আব্দুল বাছিরের এমন তথ্য অস্বীকার করেছেন আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান জুবায়ের এহসানুল হক। তিনি বলেন, ডিন সাহেব আমাকে এমন ছবি দেখিয়েছে যেটি পেছন থেকে তোলা যেখানে কোনো মুখ দেখা যাচ্ছে না। ফলে আমি স্যারকে বলি যে এই ছবি দেখে আমার শিক্ষার্থীদের চেনা সম্ভব হচ্ছে না। তবে সেখানে আমার বিভাগের শিক্ষার্থীরা নেই সেটা আমি বলিনি। তবে আরবি সাহিত্য পরিষদ নামে বিভাগ অনুমোদিত কোনো সংগঠন নেই এটাও সত্য। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক সংগঠন থাকতে পারে। সেখানে বিভাগের অনুমোদন থাকতে হবে এমন কোনো কথা নাই। আর আমার চেনা না চেনা দিয়েও তো প্রমাণ হয় না যে তারা আমার শিক্ষার্থী নয়। আমি নাও চিনতে পারি। 

তিনি বলেন, এখানে কোনো একটা অপতৎপরতা চলছে। শিক্ষার্থীরা কুরআন তেলাওয়াত করছে, কোনো অনৈতিক কাজ তো করছে না। তাহলে কেন এত সমস্যা? কত শত প্রোগ্রাম এখানে হয় তখন তো কোনো অনুমতি লাগে না তাহলে কুরআন তেলাওয়াতের প্রোগ্রামে কী সমস্যা আমি বুঝি না।

তবে ডিন অফিস থেকে প্রেরিত চিঠিতে কী উল্লেখ আছে, সেই বিষয়ে ড. জুবায়ের মোহাম্মদ এহসানুল হক কিছু বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, এটা অফিসিয়াল বিষয়।