রহমত নিউজ 13 February, 2024 09:39 PM
দেশের আবহাওয়ায় তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে ফিরতে শুরু করেছে লোডশেডিং। মাত্র ১০ হাজার মেগাওয়াট চাহিদারও পুরোটা মেটানো যাচ্ছে না এসময়। অথচ গ্রীষ্মে তা নিতে হবে সাড়ে ১৭ হাজারে। আর এই লক্ষ্য পূরণে জ্বালানি কেনার টাকার জোগানই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ-বলছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তার মতে, অর্থায়ন আটকে গেলে সংকট বড় হতে পারে আবারো।
জানুয়ারি মাসে এবার বিদ্যুতের উৎপাদন ছিল ৮ হাজার মেগাওয়াটের আশপাশে। কখনো তা নেমে যায় ৬ হাজারের ঘরে। বর্তমান সক্ষমতার যা ২৫ শতাংশের নিচে। তবে সপ্তাহখানেক ধরে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমায় একটু একটু করে বাড়ছে চাহিদা। কিন্তু এই চাহিদা মেটাতেও লোডশেডিং করতে হচ্ছে প্রায়ই।
মাসখানেক পর রমজান আর সেচ মৌসুম শুরু হলে তখন সর্বোচ্চ চাহিদা দাঁড়াবে সাড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াটে। এতে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে জ্বালানি সংকট। কারণ, এর ১৫ হাজার মেগাওয়াটই আনতে হবে গ্যাস, কয়লা ও ফার্নেস তেল পুড়িয়ে। আর এসব জ্বালানি আমদানিতে অর্থের জোগানই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
গেলো নভেম্বর থেকে এলএনজিবাহী একটি জাহাজ বন্ধ থাকায় গ্যাস সংকট চলছে পুরো দেশে। যার কাটার সম্ভাবনা নেই ২০ মার্চের আগে। অন্যদিকে, বিপুল বকেয়া পড়ে আছে বিদ্যুকেন্দ্র, আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি এবং বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে। আইটিএফসির সঙ্গে ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি কিছুটা স্বস্তির খবর দিলেও চিন্তা রয়েছে দীর্ঘমেয়াদে সমাধান নিয়ে।
এমন সংকটের মধ্যে নতুন করে জনমনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির গুঞ্জন।