রহমত নিউজ 08 February, 2024 11:46 AM
অনৈতিক ও বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিলের দাবী জানিয়েছেন সমমনা ইসলামী দলসমূহ। বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) খেলাফত মজলিস কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমমনা ইসলামী দলসমূহের এক বৈঠকে এ দাবী জানিয়ে বলা হয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নৈতিকতাকে ধ্বংস করার জন্য দেশে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে। ৭ম শ্রেণির শরীফার গল্পের মাধমে থার্ড জেন্ডারের আড়ালে জাতিকে ট্রান্সজেন্ডারের মত অনৈতিকতার দিকে ধাবিত করা হচ্ছে। ট্রান্সজেন্ডারের মত পশ্চিমা নগ্নসংস্কৃতি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে স্বাভাবিক করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। কোমলমতি শিশু-কিশোরদের এমন বিষয়াদি শেখানো হচ্ছে যা আমাদের স্বকীয় সংস্কৃতিক ও মূল্যবোধের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক। মাদ্রাসা বোর্ডের পাঠ্যপুস্তকের প্রচ্ছদ থেকে ভিতরের পাঠ্য এমনভাবে সাজানো হয়েছে যা আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার স্বকীয়তা নষ্ট করেছে। সচেতন অভিভাবকদের সাথে সাথে পুরো জাতি নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে আজ উদ্বিগ্ন। আধিপত্যবাদী ও বিদেশী শক্তির মদদে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংস করার জন্য নতুন পাঠ্যক্রম চালু করা হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে কোনভাবেই অনৈতিক শিক্ষা ব্যবস্থা চলতে পারে না। অবিলম্বে ৭ম শ্রেণির শরীফার গল্পসহ ইতিহাস- ঐতিহ্য ও নৈতিকতা পরিপন্থী সকল বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাদ দিতে হবে।
খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমীর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহসভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, খেলাফত মজলিসের যুগ্মমহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহসভাপতি মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন, খেলাফত মজলিসের যুগ্মমহাসচিব অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সহসভাপতি প্রিন্সিপাল আবদুর রহমান চৌধুরী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুজাম্মিল হক, অর্থ সচিব মো: আনোয়ারুল কবির, প্রচার সচিব মাওলানা আবদুল্লাহ আল মাসউদ প্রমুখ।
বৈঠকে সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে জনৈক স্বামীকে আটকিয়ে রেখে স্ত্রীকে জোরপূর্বক জঙ্গলে নিয়ে পৈশাচিক নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং এ পৈশাচিকতার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ছাত্রলীগ কর্র্তৃক শিক্ষাঙ্গণে এহেন পৈশাচিক অপকর্মের পুনরাবৃত্তি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানানো হয়।
বৈঠকে সম্প্রতি মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গোলার আঘাতে বাংলাদেশী নাগরিকের মৃত্যু ও যুদ্ধরত মিয়ানমারের সৈন্য ও পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের বাংলাদেশে প্রবেশের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশের সীমান্ত আজ অরক্ষিত হয়ে পরেছে। মিয়ানমারের জান্তা সরকারের অনুগত যেসব সৈন্য ও পুলিশ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তাদেরকে দ্রুত মিয়ানমারের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশের কোন সীমান্তেই যেন বাংলাদেশী নাগরিক আর হত্যাকান্ডের শিকার না হয় সেজন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।