| |
               

মূল পাতা জাতীয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কোনো মানসিক দূরত্ব নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী


যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কোনো মানসিক দূরত্ব নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী


রহমত নিউজ     14 December, 2023     08:55 PM    


পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমার ধারণা, বিএনপি যা করেছে (সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড) আমেরিকা তাতে সন্তুষ্ট নয়, কারণ আমেরিকা অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পছন্দ করে না। যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, কিন্তু তারা বিএনপির মধ্যে গণতান্ত্রিক মানসিকতা দেখছে না। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কোনো মানসিক দূরত্ব নেই।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে, “বৈশ্বিক সাফল্যের জন্য বাংলাদেশের যুব কর্মশক্তিকে শক্তিশালীকরণ” শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বহির্বিশ্বের কোনো চাপে নেই, বরং আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই বলে নিজেদের চাপে আছি। আওয়ামী লীগ সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং বহির্বিশ্ব এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। বহির্বিশ্ব একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় এবং সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চায়। আমরাও তাই চাই। আওয়ামী লীগ জনগণ ও তাদের রায়ের ওপর বিশ্বাস রাখে। আমরা চাই জনগণ বিপুল সংখ্যায় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করবে। এগুলোই আমাদের চ্যালেঞ্জ।

যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবী হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়া দুই চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীকে দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ওই দুই খুনিকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাক, যাতে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা যায়। যুক্তরাজ্য থেকে দন্ডিত যুদ্ধাপরাধী চৌধুরী মুঈন উদ্দিন এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে আশরাফুজ্জামান খানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তারা (খুনি) সেখানে (যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে) ইসলামিক প্রতিষ্ঠানের নেতা সেজে বসেছে, কিন্তু তারা তো খুনি।

ওই দুই খুনিকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন করার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যাতে ওই স্থানের জনগণ জানতে পারে যে খুনিরা তাদের আশেপাশে অবাধে বসবাস করছে। আজ থেকে ৫২ বছর আগের ১৪ ডিসেম্বর দেশের ইস্পিত বিজয়ের মাত্র দু’দিন আগে, দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাদের স্থানীয় দোসর আল-বদর, আল-শামস ও রাজাকারদের যোগসাজশে সদ্য উদীয়মান জাতি বাংলাদেশকে পঙ্গু করার জন্য দেশের সবচেয়ে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল। আমার জানামতে, এ ধরনের বর্বরতা (বুদ্ধিজীবী হত্যা) পৃথিবীর কোথাও দেখা যায়নি। বিশেষ যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়জন শিক্ষক, ছয় সাংবাদিক এবং তিনজন ডাক্তারসহ ১৮ জন বুদ্ধিজীবীকে অপহরণ ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করার পর, মুঈন ও আশরাফকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়।