| |
               

মূল পাতা জাতীয় ভারত ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকবে : প্রণয় ভার্মা


ভারত ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকবে : প্রণয় ভার্মা


রহমত নিউজ     07 December, 2023     10:39 AM    


বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, একটি স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভারত ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকবে। ৬ ডিসেম্বরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি তারিখ, ভারত–বাংলাদেশের আজকের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সূচনাবিন্দুতে দিনটি। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ‘ভারত সরকার ও জনগণের অমূল্য অবদান’ থেকে উদ্ভূত আবেগময় বন্ধনকে তুলে ধরে উভয় দেশ ৬ ডিসেম্বরকে ‘মৈত্রী দিবস’ বা ‘বন্ধুত্ব দিবস’ হিসেবে পালন করে। মৈত্রী দিবসের আয়োজন ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে গভীর ও চিরস্থায়ী বন্ধুত্বের প্রতিফলন।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) মৈত্রী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ২০২১ সালের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফর করেন। সেই সফরের সময়ে প্রতিবছরের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ১০ দিন আগে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ভারত। বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী প্রথম দেশগুলোর মধ্যে ভারত অন্যতম। ২০২১ সালে ঢাকা ও দিল্লি ছাড়াও বিশ্বের ১৮টি দেশে দিবসটি পালিত হয়। দেশগুলো হলো বেলজিয়াম, কানাডা, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, কাতার, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জাপান, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্র।

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ইতিহাসে দিনটি অনন্য। এটি অংশীদারত্বের সূচনা, যা এখন বহুমুখী হিসেবে দেখা হয় এবং সম্পর্কটি কৌশলগত অংশীদারদের ছাড়িয়ে যায়। দুই দেশ কৌশলগত অংশীদারের চেয়েও বেশি কিছু। এটি আত্মত্যাগকারীদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানানোর দিন। দুই দেশের সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়েছে, ‘আজ এটি একটি বহুমুখী সম্পর্ক, যা আমাদের সম্পর্কে নতুন গতি যোগ করছে। দুই দেশ সব ক্ষেত্রে নতুন সংযোগ গড়ে তুলছে। বৃহত্তর আশা এবং বৃহত্তর আশাবাদের সঙ্গে সুযোগটি সত্যিই অন্তহীন। দুই দেশের ইতিহাস ও উত্তরাধিকার সম্পর্কে তরুণদের আকৃষ্ট করতে তারা ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে একটি মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারি স্থাপন করেছেন।