রহমত নিউজ ডেস্ক 27 November, 2023 03:10 PM
দুবাই জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৮ এ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক ও ক্যাপস। একইসঙ্গে দেশের বরেন্দ্র অঞ্চল, উপকূল অঞ্চল, হাওর-জলাভূমি অঞ্চল, চরাঞ্চলের জন্য আলাদা জলবায়ু প্রস্তাব এবং জলবায়ু সংকটাপন্ন নগরের দরিদ্র মানুষদের দাবিও তুলে ধরা হয়।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় এমন দাবি জানানো হয়। আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বারসিকের পরিচালক পাভেল পার্থ। আলোচক হিসেবে অংশ নেন সংগঠনটির পরিচালক সৈয়দ আলী বিশ্বাস, সিলভানুস লামিন, সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর আলম, প্রকল্প পরিচালক কামরুজ্জামান এবং ক্যাপসের পরিচালক ড. কামরুজ্জামান।
সভায় বক্তারা বলেন, বিশ্বের ধনী ও উন্নত দেশের প্রায় ১ শতাংশ মানুষ যে পরিমাণ কার্বন নির্গমন করে সেই পরিমাণ কার্বন নির্গমন করে বিশ্বের প্রায় ৬৬ শতাংশ মানুষ। বাংলাদেশ এই ৬৬ শতাংশ কার্বন নির্গমনকারী দেশের কাতারে আছে। বৈশ্বিক কার্বন নির্গমনের ভেতর বাংলাদেশের কার্বন নির্গমনের পরিমাণ মাত্র ০.০৪ শতাংশ। কম পরিমাণ কার্বন নির্গমন করেও বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ সবচেয়ে বেশি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশকে প্রায় ত্রিশটি কৃষি প্রতিবেশ অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। এর ভেতর উপকূল, বরেন্দ্র, চর, পাহাড়, বনভূমি, গড়, হাওর-জলাভূমি এবং নদী সমতল অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন দুর্যোগ ও বিপদ একইভাবে প্রভাব ফেলে না। প্রতিটি অঞ্চলে এবং প্রতিটি অঞ্চলের নানা পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন রকমের প্রভাব রয়েছে। তাই অঞ্চল ভেদে বিভিন্ন এলাকার মানুষের জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত সমস্যাগুলো আলাদাভাবে আলোচিত হতে হবে। দুবাইয়ের আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনের ২৮তম আসরে দেশের ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলের মানুষের দাবি ও সুপারিশ আলোচনা করার প্রস্তাব রাখেন। যাতে করে নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের জনগণের জলবায়ু সংক্রান্ত ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়।