| |
               

মূল পাতা জাতীয় প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার অন্যতম পূর্বশর্ত : রাষ্ট্রপতি 


প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার অন্যতম পূর্বশর্ত : রাষ্ট্রপতি 


রহমত নিউজ ডেস্ক     21 November, 2023     08:40 AM    


রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন একটি শক্তিশালী, আধুনিক ও প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার অন্যতম পূর্বশর্ত। সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন করেছে। এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনীতে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম, যা নিঃসন্দেহে সশস্ত্র বাহিনীকে আরো আধুনিক, দক্ষ ও গতিশীল করবে। সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে নেতৃত্বের প্রতি গভীর আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ, পেশাগত দক্ষতা এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আজ (২১ নভেম্বর) মঙ্গলবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে দেয়া  বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।  মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ রাষ্ট্র ও নেতৃত্বের প্রতি পরিপূর্ণ অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে সশস্ত্র বাহিনীর গৌরব সমুন্নত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন- এ প্রত্যাশা করি। সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি এবং বাহিনীসমূহের সকল সদস্য ও তাঁদের পরিবারবর্গের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তিনি পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, যার নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি। আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি সাতজন বীরশ্রেষ্ঠকে, যাঁরা মাতৃভূমির জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে দেশ ও দেশের বাইরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর বীর সদস্যদের। আমি তাঁদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করি। আমি সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধাহত সদস্য ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠা সশস্ত্র বাহিনী জাতির গর্ব ও আস্থার প্রতীক। মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর তিন বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর উপর সর্বাত্মক আক্রমণ পরিচালনা করে। তিন বাহিনীর সম্মিলিত এই প্রয়াস আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করে। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামের ইতিহাসে ২১ নভেম্বর একটি স্মরণীয় দিন। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ও বীরত্বগাঁথা জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।

তিনি আরো বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যে-কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতাসহ জাতিগঠনমূলক কর্মকান্ডে সশস্ত্র বাহিনী প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও মহামারি মোকাবিলায়ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছে। কেবল দেশেই নয়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়ে পেশাগত দক্ষতা, সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে চলেছেন।