| |
               

মূল পাতা জাতীয় গাজা পরিস্থিতি তদন্তে আইসিসিতে বাংলাদেশসহ ৫ দেশের আবেদন


গাজা পরিস্থিতি তদন্তে আইসিসিতে বাংলাদেশসহ ৫ দেশের আবেদন


রহমত নিউজ ডেস্ক     19 November, 2023     08:51 AM    


ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি তদন্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) আবেদন করেছে বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশ। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) এ আবেদন হাতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান।

করিম খানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আবেদনকারী পাঁচ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, বলিভিয়া, কমোরস ও জিবুতি। ‘আইসিসি যেন ফিলিস্তিনের গুরুতর পরিস্থিতির দিকে জরুরি ভিত্তিতে নজর দেয়, তা নিশ্চিত করতেই’ এই আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফিলিস্তিন পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই আইসিসিতে একটি তদন্ত চলমান রয়েছে। ২০১৪ সালে ১৩ জুন থেকে ওঠা যুদ্ধাপরাধের বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ওই তদন্ত করা হচ্ছে। এ তদন্তের কারণে গতকাল শুক্রবার পাঁচ দেশের করা আবেদনের প্রভাব বাস্তবিক অর্থে সীমিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এক বিবৃতিতে আইসিসির কৌঁসুলির কার্যালয় জানিয়েছে, এরই মধ্যে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করেছে তারা। এ ছাড়া ফিলিস্তিনিদের নানা অপরাধের তথ্যও তাদের হাতে এসেছে।

এদিকে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য নয়, এই আদালতের বিচারিক ক্ষমতাকেও স্বীকৃতি দেয় না দেশটি। তবে নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতিতে সদস্য নয়, এমন দেশের নাগরিকদের ওপরও তদন্ত চালাতে পারে আইসিসি। যেমন সদস্যদেশের ভূখণ্ডে সদস্য নয়, এমন দেশের নাগরিক অপরাধ করলে তাঁর বিচার করতে পারবে এই আদালত। ফিলিস্তিন ২০১৫ সাল থেকে আইসিসির সদস্য। তাই গাজায় ইসরায়েলিদের অপরাধের বিচার করতে কোনো বাধা নেই। গত মাসে করিম খান জানান, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলা এবং সেদিন থেকে গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত বোমা হামলার অপরাধের বিচারের এখতিয়ার রয়েছে আইসিসির।

ইসরায়েলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় দেশটিতে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এ ছাড়া ২৪০ জনের বেশি মানুষকে ইসরায়েল থেকে জিম্মি করে নিয়ে যান হামাস যোদ্ধারা। অন্যদিকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ১২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাঁদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।