রহমত নিউজ ডেস্ক 09 November, 2023 12:44 PM
বেতন বাড়ানোর দাবিতে গাজীপুরে আন্দোলনরত পোশাকশ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত কয়েকদিনের শ্রমিক আন্দোলনের জেরে গাজীপুরের চান্দনা, কোনাবাড়ী, ভোগরা ও জরুন এলাকায় ৪০/৫০টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে ওইসব এলাকায় শ্রমিকেরা আন্দোলন করেন। সকাল ১০টায় কাশিমপুর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অব্যাহত শ্রমিক আন্দোলনের কারণে চান্দনা, কোনাবাড়ী, ভোগরা ও জরুন এলাকার অর্ধশতাধিক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ কাশিমপুর (জরুন) এলাকার কটন ক্লাব (বিডি) লিমিটেড, ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং সার্ভিস লিমিটেড, এমা সিনটেক্স লিমিটেড, রিপন নিটওয়্যার লিমিটেড, কাশিমপুর (নয়াপাড়) এলাকার কাইজার নিটওয়্যারস লিমিটেড, ইসলাম গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ডেবোনেয়ার লিমিটেড, আরবিটেক্স নিটওয়্যার লিমিটেড, মন্ডল ফেব্রিকস লিমিটেড, মনটেক্স নিটওয়্যার লিমিটেড, মনটেক্স ফেব্রিকস লিমিটেডসহ ৪০/৫০টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
সকাল ৯টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা এলাকায় পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন। এর কিছু সময় পর আন্দোলনকারীরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা মহাসড়কে টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেন। শ্রমিকরা নাওজোড় থেকে ভাঙ্গা ব্রিজ এলাকায় সড়কের পাশের বিভিন্ন কারখানায় ঢিল ছুড়ে ভাঙচুর করেন। শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটনায় শিল্প ও থানা-পুলিশ শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
শিল্প পুলিশ জানায়, গত ২৩ অক্টোবর থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর এবং কোনাবাড়ীসহ আশপাশের এলাকায় বেতন বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ করছেন পোশাকশ্রমিকরা। বিক্ষোভের কয়েকদিনে দুই শ্রমিক নিহতের ঘটনাও ঘটে। এরই জেরে শ্রমিকরা সকালে গাজীপুরের চান্দনা ও নাওজোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ ও ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় এলাকায় সড়কের ওপর টায়ার, কাঠ ও বাঁশ ফেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে বাসন থানা পুলিশ, শিল্প পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে শ্রমিকদের সাথে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ শ্রমিকদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহাসড়কের আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহমেদ বলেন, সকালে চান্দনা এলাকায় একটি কারখানায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করলে তাদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে নাওজোড়সহ আশপাশের কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা ভাঙচুর করেন। আগুন ধরিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন।
এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: ঢাকা গাজীপুর মহানগর