| |
               

মূল পাতা সারাদেশ মহানগর চট্টগ্রামের ১৯ পয়েন্টে নগর আওয়ামী লীগ অবস্থান নেবে : নাছির


চট্টগ্রামের ১৯ পয়েন্টে নগর আওয়ামী লীগ অবস্থান নেবে : নাছির


রহমত নিউজ ডেস্ক     07 November, 2023     08:30 PM    


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, আগামীকাল থেকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ১৯টি পয়েন্টে মহানগর আওয়ামী লীগ অবস্থান নেবে। বিএনপি-জামাতের অযৌক্তিক অবরোধ ও হরতালের নামে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদহানি হলে জনগণকে নিয়ে তা প্রতিরোধ করা হবে।  

আজ (৭ নভেম্বর) মঙ্গলবার বিকেলে জেলা পরিষদ মার্কেট চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিক হত্যা দিবসে মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মহানগর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ নঈম উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছ, মহানগর সহ সভাপতি আলহাজ খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু প্রমুখ।

বিএনপি ও জামাতের উদ্দেশ্যে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। আপনাদের জন্ম আজন্মের পাপ। গণতন্ত্র আপনাদের মুখের কথা, অন্তরে কুটিলতা ও বিষবাষ্প। আপনারা দু-চারটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে এবং পুলিশ হত্যা করে যে হিংসাত্মক অপরাজনীতি করছেন এর দায় অবশ্যই বহন করতে হবে।  দেশের প্রধান বিচারপতি যিনি যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদ-াদেশ দিয়েছিলেন এবং তা কার্যকরও হয়েছে তার প্রতিশোধ নিতেই বিএনপি-জামাত পরিকল্পিতভাবে অবরোধ ও সমাবেশের নামে তার বাসভবনে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়েছে। এর জন্য তাদের কোনো অনুশোচনা নেই।  মধ্যপ্রাচ্যে পবিত্র ফিলিস্তিন ভূমিতে মার্কিনী মদদে ইসরাইল বাহিনী যে গণহত্যা চালাচ্ছে সে ব্যাপারে বিএনপি নিশ্চুপ ও নীরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এর কারণ তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দাসখত দিয়েছে। ইসরাইলি হামলার নিন্দা করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অখুশি হবে এই জন্যই বিএনপির এই রহস্যময় নীরবতা।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জিয়াউর রহমান অন্তর থেকে নয়, বাধ্য হয়েই মুক্তিযোদ্ধা হয়েছিলেন। সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাসে চট্টগ্রাম বন্দরের শ্রমিক জনতা যখন আত্মাহুতি দিচ্ছিলেন তখন হানাদার বাহিনীর পক্ষে সেই অস্ত্র খালাসে তিনি এগিয়ে গিয়েছিলেন। মাঝপথে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদস্থ বাদামতলী মোড়ে বীর জনতার প্রতিরোধের মুখে তিনি ষোলশহরে ফেরত আসেন এবং সেখান থেকে কড়লডেঙ্গায় গিয়ে আশ্রয় নেন। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত। ৩ নভেম্বরের জেলহত্যার সময়ও তার প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল। ৭ নভেম্বর ভোরবেলায় মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা, সৈনিক হত্যার সময়ও তিনি নেপথ্যের প্রধান কুশীলব ছিলেন। এই জিয়াউর রহমান মনে প্রাণে পাকিস্তানি ভাবধারায় বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ করলেও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অনুচর ছিলেন এবং তিনি অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে এমএ সবুর খান, ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিম, শাহ আজিজুর রহমান, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতিতে পুর্নবাসিত করেন। তার পরবর্তী কার্যকলাপে প্রমাণিত হয় তিনি পাকিস্তানি ভাবধারায় বিশ্বাসী।  বিএনপি স্বাধীনতা-বিরোধীদের একত্রিত করে আবারো চক্রান্তের খেলায় মেতে উঠেছে। এরা হুমকি ধামকি ও অগ্নিসন্ত্রাস করে এদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। তাদের আস্ফালনকারী নেতা মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসরা এখন কারাগারে লাইফ সার্পোটে আছে। 


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: চট্টগ্রাম