| |
               

মূল পাতা মুসলিম বিশ্ব তুরস্ক কখনোই গাজার ভাইবোনদের পরিত্যাগ করবে না : এরদোয়ান


তুরস্ক কখনোই গাজার ভাইবোনদের পরিত্যাগ করবে না : এরদোয়ান


মুসলিম বিশ্ব ডেস্ক     06 November, 2023     11:36 AM    


ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য তুরস্কের প্রচেষ্টা সম্পর্কে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় রক্তপাত বন্ধ করা তুরস্কের দায়িত্ব। ইসরায়েলের নিপীড়ন থেকে ফিলিস্তিনিদের বাঁচানোর দায়বদ্ধতা রয়েছে তুরস্কের। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখের সামনেই গাজায় যে রক্তপাত হচ্ছে তা বন্ধ করা আমাদের দায়িত্ব। বর্তমানে যা কিছু দৃশ্যমান আমরা তার চেয়ে বেশি করছি এবং সেটি চালিয়ে যাবো। তুরস্ক কখনোই গাজার ভাই ও বোনদের পরিত্যাগ করবে না। গাজায় এই অনৈতিক, নীতিহীন, ঘৃণ্য গণহত্যাকে সমর্থনকারীদের অপরাধের বিরুদ্ধে সরব হওয়াটা আমাদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব।

রবিবার (৫ নভেম্বর) তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে, তুরস্কের কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী প্রদেশ রিজে বক্তৃতাকালে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, ‘যে খুনিরা পুরো ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডজুড়ে শিশু, মা এবং নিরীহ মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে, সেইসাথে নিপীড়িতদের সম্পত্তি লুণ্ঠন করছে, সেইসব চোরদের খুঁজে বের করা আমাদের মানবিক দায়িত্ব। এছাড়াও এই অনৈতিক, হৃদয়হীন এবং ঘৃণ্য গণহত্যার মতো অপরাধের সমর্থনকারীদের যেখানেই আমরা মুখোমুখি হবো সেখানেই তাদের অপরাধগুলোকে চিহ্নিত করে দেওয়াও আমাদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব। জেরুজালেমের হারাম আল-শরিফের - যার মধ্যে আমাদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে - পবিত্রতা রক্ষা করা আমাদের আধ্যাত্মিক বাধ্যবাধকতা। তবে সেটি এমনভাবে করতে হবে যাতে অন্যান্য ধর্মের সদস্যদের অধিকারকে সম্মান করা হয়।

উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর থেকেই গাজা উপত্যকায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। নির্বিচার এই হামলায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু। এছাড়া ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গাজার বাসিন্দারা বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন। ভূখণ্ডটির ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ তাদের বাড়ি-ঘর থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। একইসঙ্গে গত ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় সর্বাত্মক অবরোধও আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল। এর ফলে গাজার অনেক হাসপাতাল পরিষেবার বাইরে চলে গেছে।