‘কোনো রাজনৈতিক দল যেন রাস্তায় সহিংসতা ছড়াতে না পারে’

কোনো রাজনৈতিক দল যাতে রাস্তায় সহিংসতা ছড়াতে না পারে, সে ব্যাপারে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ করে দেশের ২৩৭ বিশিষ্ট নাগরিক বলেছেন, কোনো দল যেন জননিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে না পারে, সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিক।

আজ (৩০ অক্টোবর) সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ আহ্বান জানান। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন শাহরিয়ার কবির, রামেন্দু মজুমদার, মুনতাসীর মামুন, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী,  মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সালমা হক, শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, রানা দাশগুপ্ত, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, ক্যাপ্টেন (অব.) আলমগীর সাত্তার, ডা. আমজাদ হোসেন, নুরুন নবী, আবুল বারক আলভী, মেজবাহ কামাল, ডা. শেখ বাহারুল আলম, ডা. ইকবাল কবীর, সুব্রত চক্রবত্তী, মকবুল-ই এলাহী চৌধুরী, আবদুল গাফ্ফার হোসেন, কাজী লুৎফর রহমান, কামরুননেসা মান্নান, আজাহার উল্লাহ ভূঁইয়া, নির্মল রোজারিও, ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয় প্রমুখ।

বিবৃতিদাতারা বলেন, আমরা সম্প্রতি রাজপথে ভয়াবহ এক সহিংসতাকে দেখেছি। দুটি ধর্মের উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় উৎসবকালে এমন সহিংসতা হবে বলে এর আগেই আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করলেও এ বিষয়ে কর্ণপাত না করে বিএনপি ও জামায়াত সমাবেশ করে। সহিংসতার এক দিন আগে, বিএনপির পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান সরকার পতনের লক্ষ্য অর্জনে রাজপথে দলীয় ক্যাডারদের একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আগামীকাল (মঙ্গলবার) বিএনপি–জামায়াত নেতাদের অবরোধ আরোপের আহ্বানকে কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করছি। কারণ, ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে এই ধরনের ধর্মঘট সাধারণ মানুষের জন্য বিশৃঙ্খলা ও ধ্বংসের কারণ হয়েছিল। যানবাহনে আগুন বোমা হামলার স্মৃতি, ঘুমের মধ্যে মানুষ হত্যা এবং সংখ্যালঘুদের ওপর বিএনপি-জামায়াত ক্যাডারদের দ্বারা হামলার স্মৃতি এখনো ভোলেনি তাঁরা। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে এই ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা নিশ্চিতভাবেই এই দলগুলোর নেতৃত্বের নিছক উদাসীনতা প্রকাশ করে। বিশ্বের এমন এক জটিল পরিস্থিতিতে আবারও বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়বে বাংলাদেশ। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে এমন সহিংসতার জন্য হাজার হাজার ডলার ক্ষয়ক্ষতি হয় বাংলাদেশের।