মূল পাতা আন্তর্জাতিক ইউরোপ ইসরায়েলে সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা নেই যুক্তরাষ্ট্রের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 10 October, 2023 09:53 AM
ইসরায়েলে মার্কিন সেনা পাঠানোর কোনও পরিকল্পনা নেই যুক্তরাষ্ট্রের জানিয়ে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, মার্কিন সরকারের ইসরায়েলে সেনা পাঠানোর কোনও ইচ্ছা নেই, তবে যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে মার্কিন স্বার্থ রক্ষা করবে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন এবং অবৈধ বসতিস্থাপনকারীদের অত্যাচারের জবাব দিতে গত শনিবার থেকে ইসরায়েলে ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে হামাস। হামাসের এই হামলায় নিহত ইসরায়েলিদের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৭০০ ফিলিস্তিনি। এই ঘটনায় ইসরায়েল উপকূলে বিমানবাহী রণতরী পাঠানোর কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ইসরায়েলে আরও সামরিক সহায়তার কথাও জানিয়েছে দেশটি।
তবে স্থানীয় সময় সোমবার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ইসরায়েলে মার্কিন সেনা পাঠানোর কোনও পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের নেই। ইসরায়েলের কাছ থেকে নিরাপত্তা সহায়তা চেয়ে আরো অনুরোধ আসবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্র যত দ্রুত সম্ভব পূরণ করার চেষ্টা করবে। হামাসকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে ইরানের ‘জড়িত থাকা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই’। তবে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ইরান সরাসরি জড়িত ছিল এমন কোনো শক্ত এবং বাস্তব প্রমাণ পায়নি যুক্তরাষ্ট্র।
যদিও প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, হামাসকে ইসরায়েলে আশ্চর্যজনক হামলার প্রস্তুতিতে সহায়তা করতে ভূমিকা রেখেছে ইরান। অবশ্য ইরান নিজেও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিকে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহতদের মধ্যে ১১ জন মার্কিন নাগরিক আছে বলে নিশ্চিত করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, দুঃখজনকভাবে এখন আমরা জানি, নিহতদের মধ্যে ১১ মার্কিনি রয়েছে। যাদের অনেকে ইসরায়েলে সেকেন্ড হোম বানিয়ে থাকছিল।নিহত ১১ জন ছাড়াও আরও অনেকে এখনও হিসাবের বাইরে আছে। তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, দেশে হোক কিংবা বিদেশে, মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা বিধানই প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আমরা এখনও এটা নিয়ে কাজ করছি যে, সেখানে কতজন বন্দি আছে। তবে এটা মোটামুটি ধরে নেওয়া যায় যে, হামাসের হাতে বন্দিদের মধ্যে আমেরিকানরা আছে।
অনদিকে হামাসের হামলায় নিহত ইসরায়েলিদের সংখ্যা ৯০০ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে বহু সেনাসদস্য, নারী ও শিশু রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও প্রায় ২৫০০ ইসরায়েলি। হামাসের হামলায় নিহতদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রায় অর্ধশত সেনাসদস্যও রয়েছে। প্রথমে ২৬ সেনা নিহতের তথ্য জানিয়েছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। পরে ৪৪ সেনা ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর ৩০ সদস্য নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে তারা। নিহতরা পুলিশ, সীমান্তরক্ষী এবং সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনী ইয়ামামের সদস্য ছিলেন।