| |
               

মূল পাতা জাতীয় অর্থনীতি সেপ্টেম্বরে রফতানি আয় বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ


সেপ্টেম্বরে রফতানি আয় বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ


রহমত নিউজ ডেস্ক     02 October, 2023     11:52 AM    


সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশে তৈরি পণ্য বিশ্ববাজারে রফতানি বাবদ ৪৩১ কোটি ১০ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ টাকা আয় হয়েছে। যা ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল ৩৯০ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ একক মাস হিসেবে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় ২০২৩ সালে সেপ্টেম্বর মাসে ১০ দশমিক ৩৭ শতাংশ রফতানি বেড়েছে। তবে একক মাস হিসেবে রফতানি আয় বাড়লেও সরকারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। ২০২৩ সালে সরকারের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৬৩ কোটি ৭৯ লাখ মার্কিন ডলার। আর আয় হয়েছে ৪৩১ কোটি ৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ কমেছে। রবিবার (১ অক্টোবর) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রতিবেদন এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

ইপিবির তথ্য মতে, ইউরোপ ও আমেরিকাসহ সারাবিশ্বে তৈরি পোশাক, ওষুধ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য এবং বাইসাইকেলসহ সকল খাত মিলে সেপ্টেম্বর মাসে রফতানি আয় হয়েছে ৪৩১ কোটি মার্কিন ডলার। যা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ছিল ৩৯০কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার ইউএস ডলার। অর্থাৎ ৪০ কোটি ৫২ লাখ ৬০ হাজার ডলার বেশি রফতানি আয় হয়েছে। তবে তার আগের মাস আগস্টে রফতানি আয় হয়েছিল ৪৭৮ কোটি ২১ লাখ ৯০ হাজার ইউএস ডলার। চলতি বছরের আগস্ট মাসের তুলনায়ও সেপ্টেম্ব মাসে রফতানি আয় কমেছে।

সব মিলিয়ে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস অর্থাৎ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর তিন মাসে পণ্য রফতানি বাবদ ১ হাজার ৩৬৮ কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার আয় হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ছিল ১ হাজার ২৪৯ কোটি ৬৮ লাখ ৯০ হাজার ডলার। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ বিশ্ববাজারে রফতানি বেড়েছে। এই তিন মাসে সরকারের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৩৯৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আর রফতানি বাবদ আয় হয়েছে ১ হাজার ৩৬৮কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ২ দশমিক ১৭ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম রফতানি আয় হয়েছে।

খাতওয়ারি রফতানি আয়ের মধ্যে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে মোট পণ্য রফতানির ৮৫ শতাংশ তৈরি পোশাক খাত থেকে এসেছে। রফতানি হয়েছে ১ হাজার ১৬২ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। এই রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি। তৈরি পোশাক খাতের মধ্যে ৬৭৬ কোটি ডলারের নিট পোশাক ও ৪৮৫ কোটি ডলারের ওভেন পোশাক রফতানি হয়েছে। এ সময়ে নিট পোশাকে রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। ওভেন পোশাকের প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছর এখন পর্যন্ত তৈরি পোশাকের পর সবচেয়ে বেশি রফতানি হয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ২৬ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। এই রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম। এ ছাড়া প্রথম প্রান্তিকে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি ৯ দশমিক ৬৭, হোম টেক্সটাইলে ৪৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ, চামড়াবিহীন জুতায় ১ শতাংশ ও হিমায়িত খাদ্যের রফতানি ১১ দশমিক ৫১ শতাংশ কমেছে।