রহমত নিউজ ডেস্ক 26 September, 2023 06:09 PM
বাংলাদেশের সার্বিক রাসায়নিক নিরাপত্তা সুসংহত করা ও রাসায়নিক দুর্ঘটনা রোধে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে কেমিক্যাল ওয়ারফেয়ার এজেন্ট সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় সাড়া দেওয়ার জন্য বাহিনীগুলো থেকে গঠিত কেমিক্যাল ডিজাস্টার রেসপন্স টিমের (সিডিআরটি) কাজের পরিধি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এছাড়া সক্ষমতা বাড়ানোর কাজ চলমান রয়েছে। দেশে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য সংক্রান্ত কার্যক্রম যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বিএনএসিডব্লিউসি’র সঙ্গে নিবন্ধনের জন্য ওয়েব পোর্টাল চালু করা হয়েছে। বিএনএসিডব্লিউসির নির্বাহী সেল থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিমালা যুগোপযোগী করে নেওয়া পদক্ষেপগুলো সভায় উপস্থাপন করা হয়।
আজ (২৬ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার ঢাকা সেনানিবাসস্থ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মাল্টিপারপাস হলে বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেশনের (এসডব্লিউসি) ২১তম সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উক্ত সাধারণ সভায় বিএনএসিডব্লিউসি’র চেয়ারম্যান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সভাপতিত্ব করেন। বিএনএসিডব্লিউসি’র সদস্যবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা এবং সশস্ত্র বাহিনী হতে ৪৩ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, বিএনএসিডব্লিউসি'র সদস্যরাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা এবং সশস্ত্র বাহিনী থেকে ৪৩ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এতে অংশগ্রহণ করেন। সভায় বাংলাদেশে রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশ (সিডব্লিউসি)-কে অধিকতর কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০তম সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যতে করণীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া বিএনএসিডব্লিউসি'র বিশেষজ্ঞ পরিদর্শন দল বেনাপোল স্থল বন্দর পরিদর্শনের ফলাফল ও রাসায়নিক নিরাপত্তার স্বার্থে বন্দর কর্তৃপক্ষের করণীয় বিষয়ে সভাকে অবহিত করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের মতো অন্যান্য বন্দরে রাসায়নিক দ্রব্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সুসংহত করার ব্যাপারে বিএনএসিডব্লিউসির চেয়ারম্যান বিশেষ দিক নির্দেশনা দেন। চেয়ারম্যান রাসায়নিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনায় হতাহতদের চিকিৎসার জন্য দেশের গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত করা এবং চিকিৎসক ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। পরে বাংলাদেশে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্যসহ দেশের সার্বিক রাসায়নিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সবাই একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।