মূল পাতা শিক্ষাঙ্গন ‘মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন দেশের ১৮.৭ ভাগ প্রাপ্ত বয়স্ক লোক’
রহমত নিউজ ডেস্ক 23 September, 2023 02:54 PM
বাংলাদেশের ১৮ দশমিক ৭ ভাগ প্রাপ্ত বয়স্ক এবং ১২ দশমিক ৬ ভাগ শিশু-কিশোর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। দেশের ৯২ ভাগ লোক মানসিক রোগের কোন চিকিৎসা গ্রহণ করেন না। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে দেশে মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবীর অপ্রতুলতা রয়েছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘কমিউনিটি ভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্য: বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার ব্যবধান কমিয়ে আনার চাবিকাঠি’ শীর্ষক ৪-দিনের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এমন তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি’র সাধারণ সম্পাদক ড. মো. শাহানূর হোসেন।
প্রধান অতিথর বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য স্মার্ট ফোন, ডিজিটাল প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার রোধ এবং মানসিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে সামাজিক বাধাসমূহ দূর করতে হবে। উপাচার্য মানসিক স্বাস্থ্য সেবা খাতের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, দেশের কমিউনিটি পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে তাদের প্রশিক্ষিত জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। তিনি বলেন, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা খাতের পেশাজীবী সংকট নিরসন করা সম্ভব। দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকসমূহও এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে।
বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি’র সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ কামরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগামের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান এবং ব্রিটিশ সাইকোলজিক্যাল সোসাইটির সাবেক সভাপতি ড. গ্রাহাম পাওয়েল বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি’র সাধারণ সম্পাদক ড. মো. শাহানূর হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের চেয়ারপার্সন মিসেস জোবেদা খাতুন।